
দিল্লি, ১৪ মে: পহেলগাম হামলার (Pahalgam Terror Attack) পর সিন্ধু জল চুক্তি (Indus Water Treaty) স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের তরফে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে কখনও জল চুক্তি চলতে পারে না। এমন জানানো হয় ভারতের (India) তরফে। তারপর সিন্ধু দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। ভারত অপারেশন সিদূঁর সম্পন্ন করেছে। পাকিস্তানে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ভেঙেছে। পাকিস্তানের তরফেও পালটা হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। যা নিয়ে দুই দেশের মধ্য়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয়।
শেষ পর্যন্ত গত শনিবার ভারত, পাকিস্তানের (India-Pakistan Tension) মাঝে অস্ত্র বিরতি হলেও, সিন্ধু চুক্তি স্থগিতই রয়েছে। সন্ত্রাসের সঙ্গে যেমন আলোচনা হতে পারে না, তেমনি বিলওয়ালের নাম না করেই তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী জলের সঙ্গে রক্ত বইতে পারে না। এমনই জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ফলে সিন্ধু অববাহিকা কার্যত শুকোতে শুরু করেছে। খারিফ শষ্যের মরশুমে বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানি কৃষকরা। ফলে পাকিস্তানের কৃষি ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। এমন আশঙ্কা যখন তৈরি হয়েছে তখন শেহবাজ় সরকারের উপর পাহাড় প্রমাণ চাপ পড়ছে। যার জেরে এবার ভারতের দিকে তাকিয়ে পাকিস্তান। সিন্ধু জল চুক্তি যাতে স্থগিত করা না হয়, সে বিষয়ে পাক সরকার আবেদন জানিয়েছে। সূত্রের তরফে মিলছে এমন খবর।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতের জল শক্তি মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানের জল মন্ত্রী সৈয়দ আলি মুর্তাজ়ার তরফে। পাকিস্তান সমস্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী। ফলে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত থেকে যাতে আবার চালু করা যায়, সে বিষয়ে আবেদন জানান সৈয়দ আলি মুর্তাজ়া।
কী এই সিন্ধু জল চুক্তি
১৯৬০ সালের চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদীর ৩০ শতাংশ জল ভারত পাবে। বাকি ৭০ শতাংশ পাবে পাকিস্তান। তবে পহেলগাম হামলার পর সিন্ধু অববাহিকা দিয়ে যাতে এক ফোঁটা জল গড়াতে না পারে, তার জন্য চুক্তি স্থগিত করে দিল্লি। সেই সঙ্গে পাকিস্তানকে আগে যেভাবে বন্যা সতর্কতা দেওয়া হত, তাও বন্ধ করে দেয় ভারত।