নতুন দিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু তলে ফের তিরস্কৃত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে (UN General Assembly) ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে (Sneha Dubey) তাঁকে তুলোধোনা করেন। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন ইমরান খান। বক্তব্যে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেন। পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তি চায় বলে দাবি করে ইমরান বলেন, "জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধ নিষ্পত্তির উপর দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি নির্ভর করছে।" পাল্টা 'জবাব দেওয়ার অধিকার' প্রয়োগ করে ইমরান খানকে স্নেহা মনে করিয়ে দিলেন যে সমগ্র বিশ্ব বিশ্বাস করে যে পাকিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীরা বেড়ে ওঠে এবং তাদের প্রকাশ্যে সমর্থন করা হয়। তিনি অবৈধ ভাবে দখল করে কাশ্মীরের বাকি অংশ খালি করার দাবি জানান পাকিস্তানের কাছে।
কে এই স্নেহা দুবে?
ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে ২০১১ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাস করেন। প্রথম প্রচেষ্টাতেই তিনি সফলতা পান। ২০১২ ব্যাচের আইএফএস অফিসার স্নেহা গোয়া থেকে স্কুলের পড়া শেষ করেছেন। এরপর পড়াশোনা করেছেন পুনের ফার্গুসন কলেজে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তার আগ্রহের কারণে স্নেহা দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে এমফিল করেন। ভ্রমণপ্রিয় স্নেহা বিশ্বাস করেন যে আইএফএস হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সেরা সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
স্নেহা তাঁর পরিবারে প্রথম যিনি সিভিল সার্ভিস চাকরিতে যোগদান করেছেন। তাঁর বাবা একটি বহুজাতিক কম্পানিতে কাজ করেন এবং মা স্কুল শিক্ষিকা। স্নেহার প্রথম পোস্টিং ছিল দুবাইয়ে। তারপর ২০১৪ সালের অগাস্টে তাঁকে মাদ্রিদে ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়েছিল। স্নেহা বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পদে কাজ করছেন।
ইমরান খানের ভাষণের জবাবে স্নেহা গোটা বিশ্বকে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন যে মাত্র কিছুদিন আগেই ৯/১১ হামলার ২০তম বার্ষিকী বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে এবং বিশ্ব ভুলে যায়নি যে এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। আর সেই পাকিস্তান সরকার লাদেনকে এখন শহিদের মর্যাদা দিয়েছে।
শুনুন স্নেহার বক্তব্য:
Watch: India exercises its right of reply at the #UNGA @AmbTSTirumurti @MEAIndia @harshvshringla pic.twitter.com/YGcs28fYYa
— India at UN, NY (@IndiaUNNewYork) September 25, 2021
ইমরান খানকে কটাক্ষ করে স্নেহা বলেন, "আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় তুলে ধরে এবং বিশ্বমঞ্চে মিথ্যা বলে অগাস্ট ফোরামের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। যদিও যিনি বারবার মিথ্যা বলেন, তাঁর এই ধরনের বক্তব্য আমাদের সবার অবমাননা ও সহানুভূতি প্রাপ্য। দুঃখের বিষয়, এটা প্রথমবার নয় যখন পাকিস্তানের নেতা আমার দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানোর জন্য রাষ্ট্রসংঘের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করেছেন এবং তাঁর দেশের করুণ অবস্থা থেকে বিশ্বের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর জন্য নিরর্থক চেষ্টা করছেন, যেখানে সন্ত্রাসবাদীরা বাধা ছাড়াই ঘোরাফেরা করে।"