লখনউ, ২২ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে রাজ্যে অশান্তির জন্য বহিরাগতদের দায়ী করল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার। অশান্তির ঘটনার জড়িত থাকার অভিযাগে পশ্চিমবঙ্গের মালদা (Malda) জেলার বাসিন্দা ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ একথা জানান উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা (Deputy Chief Minister Dinesh Sharma)। তিনি বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের ঘটনায় বহিরাগতদের ভূমিকা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার বাসিন্দা ৬ জনকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছে। লখনউতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দীনেশ শর্মা বলেন, “পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ায় হিংসার ঘটনায় জড়িত রয়েছে। সিমি (SIMI)-র সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে। মালদার বাসিন্দা ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "রাজ্য সরকার শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম। আমরা মুসলিম ধর্মগুরুদের সঙ্গে কথা বলেছি।" মন্ত্রী জানান, অন্তত ২৮৮ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৬২ জনের গুলি লেগেছে। অন্তত ৫০০টি খালি কার্তুজ পাওয়া গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে প্রতিবাদকারীরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করছিল।" তিনি আরও বলেছিলেন যে এখনও পর্যন্ত ৭০৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের থেকে ক্ষয়ক্ষতির অর্থ আদায় করা হবে। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: প্রকাশ্যে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ দু'রকম কথা বলছেন, মানুষই বিচার করবে: মমতা ব্যানার্জি
এদিকে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের জেরে করে গত তিন দিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তরপ্রদেশে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে দলীয় সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দলকে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা ব্যানার্জি। যাতে শামিল ছিলেন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী, জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, রাজ্যসভার সাংসদ মহম্মদ নাদিমূল হক এবং আবির বিশ্বাস। সেই নিয়ে শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয় তৃণমূলের তরফে। যদিও তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে রাজ্যে ঢুকতে দিল না যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এ দিন দুপুরে বিমানবন্দরে নামতেই তাঁদের ঘিরে ধরে পুলিশের একটি দল। তার পর ফাঁকা বাসে তুলে রানওয়ের উপরই একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের।