Sitaram Yechury: সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি-র হ্যাটট্রিক, চরম সঙ্কটেও সিপিএমের রাশ সীতারামের কাছেই থাকল
CPI(M) chief Sitaram Yechury. (Photo Credits. Twitter)

দিল্লি, ১০ এপ্রিল: দলের অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরায় ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে দেশজুড়ে সিপিআই(এম)-র হাল খারাপ। টানা ৩৫ বছর বাংলায় সরকার চালানো সিপিএমের এখন রাজ্য বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধি নেই। বাংলায় ক্ষমতা ফেরা তো দূরের কথা, বিরোধী দলের আসনটাও বিজেপির কাছে চলে গিয়েছে। ত্রিপুরাতেও অবস্থা তথৈবচ। পঞ্জাব বিধানসভা ভোটেও একেবারেই প্রত্যাশিত ফল হয়নি। একমাত্র কেরলেই আছে সিপিএমের নেতৃত্বে এলডিএফ সরকার। এমন একটা সময় আরও একবার সিপিআই (এম)-র সাধারণ সম্পাদক পদে থেকে গেলেন সীতারাম ইয়াচুরি। বাংলা ভোটে খারাপ ফল হলেও, এই নিয়ে টানা তিনবার তিন কাস্তে হাতুড়ি তারা-র দলের প্রধান পদে নির্বাচিত হলেন ইয়েচুরি।

২০১৫ সালে প্রকাশ কারাতের জায়গায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক পদে বসেন ইয়েচুরি। তারপর থেকে তিনিই দলীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আছেন। এর আগে প্রকাশ কারাত এই পদে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০০৫-২০১৫ পর্যন্ত। সিপিআই (এম)-এ সর্বোচ্চ পদ হল সাধারণ সম্পাদক। কংগ্রেস, বিজেপি-র মত সিপিআই (এম)বা বাম দলগুলিতে সভাপতি পদ থাকে না। আরও পড়ুন: Terrorist Killed In Srinagar: শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে নিকেশ জঙ্গি

দলকে ঘুরে দাঁড়াতে ইয়েচুরির ওপর ভরসা রাখল সিপিএম। তেলেগু ব্রাহ্মণ ইয়েচুরি স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, ঠান্ডা মাথায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, লড়াকু মানসিকতার জন্য দলে সবার মধ্যে জনপ্রিয়। কারাতের মত বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্বের নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না ইয়েচুরি। বিজেপি-র মত সাম্প্রদায়িক দলকে হারাতে হলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কথাই বারবার বলে এসেছেন তিনি। বাংলা বিধানসভায় ভরাডুবি হয়ে একটা আসনও জিততে না পারার পর ইয়েচুরিকে নিয়ে দলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন ইয়েচুরিকে সরিয়ে অন্য কাউকে আনায় বিশ্বাসী নয় দল। দিল্লি দাঙ্গায় পুলিশের চার্জশিটে নাম থাকা ইয়েচুরির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশজুড়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় পথে নামতে চলেছে সিপিএম।

দেখুন টুইট

১৯৭৫ সালে জেইনইজ-তে পড়ার সময় এমার্জেন্সির সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন ইয়েচুরি। জেএনইউ-তে বাম দুর্গ বানানোর পিছনে প্রকাশ কারাত ও ইয়েচুরির বড় অবদান আছে।