সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যান। (Photo Credits: Pexels)

নয়া দিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর: Plastic Ban in India-আগামী ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তী থেকে দেশজুড়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের নিষিদ্ধের তালিকায় থাকছে ব্যাগ, কাপ, স্ট্র-য়ের মত জিনিস। শহর-গ্রাম সর্বত্র নিষিদ্ধ হচ্ছে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের এসব জিনিস। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিকের মোট ৬টি জিনিস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালের মধ্যে দেশকে সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার দিকে জোর দিয়েছেন।

ব্যাগ, কাপ, স্ট্র-য়ের মত প্লাস্টিকের জলের ছোট বোতল, প্লাস্টিকের প্লেটের মত জিনিসও থাকছে। স্যাচে প্য়াকও নিষিদ্ধ হচ্ছে। থার্মোকলের কাপ, প্লেট, সসার্স, চামচ এবং স্ট্র নিষিদ্ধ থাকছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী হলে ভারতের বার্ষিক প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন, কমে যাবে। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে মোটা অঙ্কের জরিমানাও আরোপ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ছ’মাস পর থেকে ওই জরিমানা কার্যকর করবে কেন্দ্র। আরও পড়ুন-টাকার প্রয়োজন, ২ বছর ধরে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের জন্য বাড়িতে লোক ডাকল বাবা!

এই নিষেধাজ্ঞা কড়া ভাবে মেনে চলা হবে এবং এই ধরনের সমস্ত প্লাস্টিক দ্রব্য উৎপাদন, ব্যবহার ও আমদানির বিষয়টিও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জিনিসপত্র প্যাক করার সময়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার কম করতে অনলাইন শপিং সংস্থাগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে বলেছিলেন, ''আমরা নানা রকম পরিকল্পনা করতেই পারি। কিন্তু সত্যিকারের বদল আনতে হলে হাতে কলমে কাজ করতে হবে মাঠে নেমে। গবেষণা বলছে, প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে সারা বিশ্বে সমস্যা বাড়ছে। সারা বিশ্বের যত প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে, তার প্রায় ৫০ শতাংশ সমুদ্রে গিয়ে মিশছে, ক্ষতি করছে সামুদ্রিক প্রাণীদের। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে প্লাস্টিকের স্ট্র, চামচ, ছুরি, কটন বাড– এ সব নিষিদ্ধ করা হবে।''

দেশে প্লাস্টিক দূষণ বেশ উদ্বেগের জায়গায় রয়েছে। দেশের বেশ কিছু রাজ্য়ে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ হয়েছে। ৬টা সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করে বার্ষিক ১৪ মিলিয়ন টন ব্যবহার কমানো যাবে। যা বার্ষিক ব্যবহারের ৫-১০ শতাংশ কমানো য়াবে। এইসব জিনিসগুলো নিষিদ্ধ হওয়ায় এবার তার পরিবর্তে এমন প্লাস্টিকই শুধু ব্যবহার হয় যেগুলি রিসাইকেবল বা পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। প্লাস্টিক দূষণের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ছে সমুদ্রে। প্লাস্টিকের প্রভাব সমুদ্রের প্রাণীদের জীবন ঝুঁকির মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।