১ ডিসেম্বর থেকে উত্তর সিকিম খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। তারপর গত দুই মাস ধরে পর্যটকরা উত্তর সিকিমের মাঙ্গান জেলায় ভিড় জমাচ্ছেন, যা পর্যটনে একটি শক্তিশালী পুনরুজ্জীবনের প্রতীক হিসাবে ধরছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণের কারণে বন্যার কারণে অক্টোবর থেকে এই অঞ্চলে পর্যটকদের পরিদর্শন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ডিসেম্বরের প্রথমদিন থেকে মংগন জেলার লাচুং পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার কথা জানায় সিকিম প্রশাসন। শুধু লাচুংই নয়, ১০ ডিসেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় লাচেন, ছাঙ্গু, গুরুদোংমা থেকেও। এখন লাচুংয়ের পাশাপাশি জিরো পয়েন্ট, ইয়ুমথাংয়েও যেতে পারছেন পর্যটকরা।
এই ঘোষণার পরই সিকিম পর্যটন অক্সিজেন পাচ্ছে বলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর উত্তর সিকিম অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য একটি প্রিয় গন্তব্য। এই অংশটি শীতকালে ঘন ঘন তুষারপাতের জন্য পরিচিত এবং পর্যটকরা লাচেন, লাচুং এবং ইয়ুমথাং সহ বিভিন্ন গন্তব্যে যান। গত ১৫ মাসে পর্যটক না থাকায় হোটেল শিল্প, ট্রাভেল এজেন্ট ও পরিবহনকারীদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে পর্যটন কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ায় স্থানীয় মানুষ ও শিল্প-কারখানায় আনন্দের সঞ্চার হয়েছে।
Tourism revival in Sikkim, surge in visitors after October 2023 floods
Read: https://t.co/mc6iZFYlQa pic.twitter.com/QG6JI5sFhd
— All India Radio News (@airnewsalerts) January 28, 2025
উত্তর সিকিম চিনের সাথে একটি সীমানা ভাগ করে এবং এর জন্য পর্যটকদের উচ্চ উচ্চতার গন্তব্যে যেতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। তাছাড়াও ২০২৪ সালের শেষে জেলা প্রশাসনের তরফে কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, পর্যটকদের মংগনের সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অফিস থেকে ভ্রমণের একদিন আগে অথবা যেদিন বেড়াতে যাবেন সেদিন সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে পাস সংগ্রহ করতে হবে। তাঁদের বিশেষ ধরনের এসইউভি গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। গোটা বিষয়টি জানতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে।