দিল্লি, ২৫ নভেম্বর: এবার ফরিদাবাদ পুলিশের তরফে যোগাযোগ করা হল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) সঙ্গে। ফরিদাবাদে একটি বাক্সের মধ্যে দেহাংশ মেলে। এরপরই ফরিদাবাদ পুলিশের তরফে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার যখন ফরিদাবাদের সূরজকুণ্ডে মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ সহ বাক্স মেলে, তখন তা নিয়ে সন্দেহ বাড়তে শুরু করে। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের (Shraddha Walker) খুনের পর তাঁর দেহাংশ ওই বাক্সের মধ্যে করে ফরিদাবাদে ফেলে কিনা আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala), তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই বাক্সের মধ্যে থেকে যে দেহাংশ মিলেছে, তার ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানানো হয় দিল্লি পুলিশের তরফে। এদিকে শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুনের পর ৫টি বড় ছুরি দিয়ে তাঁর দেহাংশ খণ্ডিত করে আফতাব পুনাওয়ালা। যে ৫টি ছুরি খুঁজে পাওয়ার পর দিল্লি পুলিশ তা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে।
Shraddha murder case | Faridabad Police contacted Delhi Police after a suitcase with body parts inside was found in a forest area in Surajkund yesterday. It'll be sent for postmortem. Faridabad Police say samples will be kept aside, in case Delhi Police want to go for a DNA test.
— ANI (@ANI) November 25, 2022
এদিকে আফতাব পুনাওয়ালা তাঁকে খুন করতে চায়। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে ২০২০ সালে শ্রদ্ধা ওয়ালকর মুম্বইয়ের ভাসাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মুম্বই পুলিশের কাছে শ্রদ্ধা যে অভিযোগ দায়ের করেন, সেখানে তিনি খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এমনকী, আফতাব তাঁকে খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে বলে পুলিশকে চিঠি লেখেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে কী হবে বলেও পুলিশ চিঠি লেখেন শ্রদ্ধা। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে।
২০২০ সালে শ্রদ্ধা যেভাবে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি লেখেন, তারপরও পুলিশ কেন পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।