দিল্লি, ১৮ নভেম্বর : শ্রদ্ধা ওয়ালকর খুনে এবার সামনে এল আরও তথ্য। ১৮ মে খুনের দিন মাদকের নেশায় চুর হয়ে শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করে আফতাব। মাদকের নেশায় চুর হয়ে আফতাব প্রথমে শ্রদ্ধার সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু করে, এরপর তাঁর বুকের উপর চেপে বসে খুন করে দীর্ঘদিন ধরে একত্রবাস করা প্রেমিকাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাবের মাদকের নেশা নিয়ে আপত্তি ছিল শ্রদ্ধার। তিনি আফতাবকে বার বার নিষেধ করেন মাদকের নেশা করতে। এরপর দুজনের ঝগড়া শুরু হয়। প্রায় গোটা দিন ধরে চলে তাঁদের অশান্তি। শুধু তাই নয়, মুম্বই থেকে দিল্লিতে আসায় এবং তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে আসায় দুজনেরই অর্থের টানাটানি চলছিল। ফলে ১৮ মে গোটা দিন ধরে শুরু হয় শ্রদ্ধা, আফতাবের লড়াই।
শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবাদের পর আফতাব ছত্তরপুরের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর কার্যত নেশায় চুর হয়ে সে ফিরে আসে ঘরে। নেশায় চুর হয়ে ঘরে ফেরার পর শ্রদ্ধার সঙ্গে ফের ঝগড়া শুরু হয় আফতাবের। পুলিশি জেরায় আফতাব জানায়, সে শ্রদ্ধাকে খুন করতে চায়নি। তবে গাঁজার নেশায় চুর হয়ে ফেরাতেই সে হঠাৎ শ্রদ্ধার বুকে চেপে বসে গলা টিপে খুন করে তাঁকে।
১৮ মে রাত ৯টা থেকে ১০টার মাঝে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। এরপর গোটা রাত ধরে ধূমপান করে আফতাব। সঙ্গে মাদকের নেশাও করে পুরোদমে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর সে রাতে আর ঘর থেকে বের হয়নি। পরদিন পাশের দোকান থেকে ৩০০ লিটারের ফ্রিজ এবং ছুরি কিনে ফিরে আসে আফতাব। এরপরদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে আফতাব শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরোতে কেটে ফেলে। শ্রদ্ধার মৃতদেহ ৩৫ টুকরো করে তা ফ্রিজে ভরে রাখে আফতাব। শুধু তাই নয়, শ্রদ্ধাকে যাতে কেউ চিনতে না পারে, তারজন্য প্রেমিকার মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় আফতাব। যা শেনার পর কার্যত শিউরে উঠছে পুলিশও।