
দিল্লি, ২ জুন: শর্মিষ্ঠা পানোলিকে (Sharmishta Panoli) গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলিকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, সেই সময় তিনি সমর্থন পেলেন ৭ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা ডাচ সাংসদের প্রতিবাদে। শর্মিষ্ঠা পানোলির মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) কিছু করুন। তাঁর বাক স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করা হয়েছে। এভাবেই শর্মিষ্ঠা পানোলির হয়ে মুখ খুললেন ডাচ সাংসদ গ্রিট ওয়াইল্ডার্স (Dutch MP Geert Wilders)।
গ্রিট নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখেন, সাহসী শর্মিষ্ঠাকে মুক্ত করুন। শর্মিষ্ঠার বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে সত্য কথা বলায় শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী দয়া করে শর্মিষ্ঠাকে সাহায্য করুন। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এমনই বার্তা প্রকাশ করেন ডাচ সাংসদ। পাশাপাশি 'অল আইস অন শর্মিষ্ঠা' (All Eyes On Sharmishta) বলে পোস্ট করেন ডাচ সাংসদ। সাহসী শর্মিষ্ঠাকে মুক্ত করুন।
দেখুন কী লিখলেন ডাচ সাংসদ...
Free the brave Sharmishta Panoli!
It’s a disgrace for the freedom of speech that she was arrested.
Don’t punish her for speaking the truth about Pakistan and Muhammad.
Help her @narendramodi! @AmyMek #Sharmishta#IStandwithSharmishta #ReleaseSharmistha #FreeSharmishta pic.twitter.com/YhGSLhuyr2
— Geert Wilders (@geertwilderspvv) May 31, 2025
শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ২২ বছরের আইনের ছাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। অপারেশন সিঁদূরের (Operation Sindoor) সময় বলিউড তারকারা কেন কোনও মন্তব্য করেননি, সে বিষয়ে পোস্ট করেন শর্মিষ্ঠা। যেখানে অপমানজনক শব্দ শর্মিষ্ঠা ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। সমাজ মাধ্যমে বিভাজনমূলক মন্তব্য করার অভিযোগেই শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবর।
সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকে গ্রেফতারির পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠতে শুরু করে। বিজেপি (BJP) এবং তার সঙ্গীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের (Mamata Banerjee Govt) বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। এরপরই শর্মিষ্ঠা পানোলিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
শর্মিষ্ঠা পানোলিকে সমর্থন করে পোস্ট দেখা যায় জনসেনা নেতা পবন কল্যাণের কলমেও। তিনি বলেন, শর্মিষ্ঠা যা বলেছেন, তা এক শ্রেণির মানুষকে আঘাত করেছে, অস্বীকার করা যায় না। যার জেরে শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করার জলদি পদক্ষেপ হয়েছে। তবে তৃণমূলের এক শ্রেণির সাংসদ, বিধায়করা যখন ক্রমাগত সনাতন ধর্মকে অপমান করছেন, তখন কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয় না? তখন কেন কাউকে গ্রেফতার হয় না? এমন প্রশ্ন তোলেন অন্ধ্রপ্রদেশের জনসেনা নেতা পবন কল্যাণ।
শর্মিষ্ঠা পানোলির সমর্থনে মুখ খুলতে দেখা যায় কঙ্গনা রানাউতকেও...
पश्चिम बंगाल शासन का दोगलापन सड़क से संसद तक है ।
सांसद होते हुए भी हिंदू देवी देवता पर अभद्र टिप्पणी और अश्लील फोटो सांझा करने करने वालो पर कोई कार्यवाही नहीं होती । @Patrika_com#ReleaseSharmistha #Sharmishta pic.twitter.com/AdpaR6ed4q
— Sharmishta Panoli (@panoli_S) June 1, 2025