অপারেশন সিঁদুরের সমর্থনে মন্তব্য করতে গিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অপরাধে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা পানোলি (Sharmistha Panoli Case)। আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নেতৃত্ব শর্মিষ্ঠার গ্রেফতারিকে সমর্থন জানিয়েছেন। অ্ন্যদিকে আবার বিজেপির পক্ষ থেকে চরম বিরোধীতা করা হচ্ছে। এবার এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত।

শর্মিষ্ঠা পানোলির পাশে কঙ্গনা রানাওয়াত

কঙ্গনার মতে, “আইন শৃঙ্খলার নামে কাউকে এভাবে হয়রানি করা উচিত নয়। অভদ্র ভাষা প্রয়োগের জন্য মেয়েটি ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েছিল এবং সে পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিল। কিন্তু এই কারণে কাউকে জেলে রাখা, তাঁকে হয়নারি করা, তাঁর কেরিয়ার, জীবন নষ্ট করার অধিকার কারোর নেই। বাংলার সরকারের কাছে অনুরোধ করব, রাজ্যটাকে উত্তর কোরিয়া বানাবেন না। এখানে সকলের সংবিধানিক অধিকার আছে। মেয়েটি অভদ্র ভাষা ব্যবহার করেছে ঠিকই, কিন্তু সে ক্ষমাও চেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করব, মেয়েটিকে ছেড়ে দিন। ওঁর জীবন, কেরিয়ার নষ্ট করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। যা কখনই সমর্থনযোগ্য নয়”।

দেখুন কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্য

শর্মিষ্ঠা পানোলির গ্রেফতারি

প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নিশানা করে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করে একটি ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কলকাতার গার্ডেনরিচ থানায় একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তাঁকে গুরগাঁওতে গিয়ে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।