করোনার পর এবার এমপক্স (Mpox)। আরও একটা বড় ভাইরাস থেকে বাঁচাতে ফের প্রয়োজন হতে পারে ভ্যাকসিনের। আর প্রসঙ্গত, করোনার সময় সিরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়েছেন দেশের বহু মানুষ। এমপক্স বা মাঙ্কি পক্স-কে নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও বিপদবাণীর মাঝে, আবারও শুরু হয়েছে সেই আদার পুনেওয়ালা (Adar Poonawalla)-র সিরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন নিয়ে জল্পনা।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়েছে মাঙ্কি পক্স। ভারতের সব বিমানবন্দর, জাহাজ বন্দর, আন্তর্জাতিক সীমান্তে মাঙ্কি পক্স নিয়ে কড়া নজরাদারি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সিরাম ইনস্টিটিউট জানাল, বছরখানেকের মধ্যেই এমপক্স ভ্যাকসিন নিয়ে তাদের থেকে সুখবর মিলতে পারে। প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহ থেকে কঙ্গো-তে এমপক্স ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গ্রেট ব্রিটেনেও এমপক্স ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে। আরও পড়ুন-প্রেমিকার বোনের সঙ্গে সহবাসের হুমকি, আত্মঘাতী তরুণী
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সংস্থার সিইও আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছে, সিরাম ইনস্টিটিউট এখন অ্যান্টি এমপক্স ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ব্যস্ত রয়েছে। এটা তৈরি হল লক্ষ লক্ষা মানুষের জীবনের যে ঝুঁকি রয়েছে তা সরে যাবে। পুণেওয়ালা জানান, আগের মাক্সিপক্স রোগের চেয়ে এখনকার এমপক্স ভাইরাস অনেকটাই আলাদা।
করোনা ভাইরাসের পর বিশ্বের কাছে আরও একটা বড় বিপদের নাম হতে পারে এমপক্স। আফ্রিকা মহাদেশের কয়েকটি দেশকে ছারখার করে এমপক্স গোটা দুনিয়ার কাছে অভিশাপ হয়ে উঠতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি এমপক্স-কে বিশ্ব স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। তারপর থেকেই সতর্কতা শুরু হয়ে যায় বিভিন্ন দেশে। আফ্রিকা থেকে ইউরোপে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে এমপক্স। এদিকে, পাকিস্তানের পর ইন্দোনেশিয়াতেও ঢুকে পড়েছে।