দিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর: 'আমার ঘরে এস। তোমার বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা আমি করে দেব। তোমায় কিচ্ছু খরচ করতে হবে না।' রাত বিরেতে ছাত্রীদের এমন মেসেজ করতেন স্বঘোষিত গুরু স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী (Swami Chaitanyananda Saraswati) ওরফে পার্থ সারথী। দিল্লির (Delhi) প্রসিদ্ধ বসন্ত কুঞ্জ এলাকায় যে ম্যানেজমেন্ট কলেজ চলে, সেখানকারই আধিকারিক পদে এতদিন পর্যন্ত ছিলেন চৈতন্যনন্দ সরস্বতী। কলেজের বড় পদে থেকে ছাত্রীদের এভাবেই অশালীন মেসেজ পাঠাতেন পার্থ সারথী বা স্বঘোষিত গুরু বা বাবা।
ওই ম্যানেজমেন্ট কলেজের ১৬ ছাত্রী য়খন পার্থ সারথী নামে ওই স্বঘোষিত গুরুর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টার অভিযোগ করেন পুলিশের কাছে, তা প্রকাশ্যে আসতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য।
গত ১৬ বছর ধরে চৌতন্যনন্দ সরস্বতী বসন্ত কুঞ্জের ওই কলেজের আধিকারিক পদে। ১৬ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক ছাত্রীকে অশালীন, কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। অশ্লীলতার চেষ্টা, জোর করে শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করতেন বলে অভিযোগ। যে যে ছাত্রী চৈতন্যনন্দের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রতিবাদ করতেন, তাঁদের ফেল করানো অর্থাৎ পরীক্ষা অকৃতকার্য করানোর হুমকি দিতেন ওই বাবা। 'নম্বর কম দিয়ে ফেল করিয়ে দেব' বলে সরাসরি হুমকি দিতে শুরু করেন চৈতন্যনন্দ নামের ওই ব্যক্তি।
পুলিশ কী জানিয়েছে
পুলিশ সূত্রে খবর, চৈতন্যনন্দ সরস্বতী হোয়াটস অ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব দিতেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে চৈতন্যকৃষ্ণ প্রথমে যে মেসেজ করতেন, সেখানে কোনও হুমকি দিতেন না। তবে ওই ছাত্রী তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে, তিনি তারপর হুমকি দেওয়া শুরু করেন।
বিশেষ করে সেই সমস্ত ছাত্রী বা কলেজের মহিলাদের তিনি বেশি করে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করতেন বা হুমকি দিতেন, যাঁদের অর্থের জোর কম ছিল। পার্থ সারথী জানতেন, ওই সমস্ত পরিবারগুলি তাঁর বিরুদ্ধে কখনও যেতে পারবে না। ফলে গুটি বেশ ভাল করে সাজিয়ে তবেই হুমকি দেওয়ার কাজ করতেন পার্থ সারথী।