জাল পাসপোর্ট নিয়ে ভারত পাকিস্তান ঘুরে বেরাচ্ছিলেন বছর ২৩-এর মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা নাগমা নূর মাকসুদ (Nagma Noor Maqsood)। পুলিশে সন্দেহ হতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই সেই জেরা এড়িয়ে যেত সে। তারপরেই সন্দেহ দূঢ় হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় সানাম ওরফে নাগমাকে। জানা যাচ্ছে, পাসপোর্ট জাল করার অভিযোগে থানের ভার্তাক নগর পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতার করে। এদিন গ্রেফতার করে তাঁকে আদালতে পেশ করা ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে নাগমার দুই পাকিস্তানি সহযোগীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। কেন সে ভারত ছাড়লো এবং পাকিস্তান থেকে মাঝেমধ্যে কেনই বা আসা যাওয়া করতো তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এর আগে নাগমা জানিয়েছিল, ২০১৫ সালে সে তাঁর নাম পরিবর্তন করে। কিন্তু ঠিক কী কারণে সে নাম পাল্টিয়েছিল তার স্পষ্ট উত্তর মেলেনি। বরং তাঁর দাবি ছিল নাগমা নূর মাকসুদ নামটি তাঁর পছন্দ ছিল না তাই সেটি পরিবর্তন করে সানাম খান রাখে। বছর ২৩-এর এই তরুণী আগে একটি করেছিল এবং প্রাক্তন সম্পর্কে একটি কন্যা সন্তানেরও জন্ম দেয়। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। এরপর ২০২১-এ করোনা আবহে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বশির আহমেদ নামে এক পাক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। বিগত কয়েকবছর ধরে দুজন এবং দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা চলার পর ২০২৩ এ পাসপোর্ট বানিয়ে ভিসার আবেদন করে পাকিস্তান চলে যায় নাগমা।

তবে বশিরের সঙ্গে আদৌ তাঁর বিয়ে হয়েছিল কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি। নাগমার দাবি, ২৩-এ পাকিস্তান চলে যাওয়ার পর আচমকা তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর  সেই কারণেই নাকি তাঁকে বারবার ভারতে আসতে হয়। আর এই ঘনঘন ভারত পাকিস্তান করতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহের চোখে পড়ে নাগমা। সম্প্রতি সে মহারাষ্ট্রে আসতেই স্থানীয় থানা থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় হাজিরা এড়াতেই বৃহস্পতিবার নাগমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।