উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের মুঘল আমলের শাহী জামে মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছিল গত রবিবার। সমীক্ষা চলাকালীন যাতে অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য মোতায়েন করা ছিল বিশাল পুলিশবাহিনীও। কিন্তু সমীক্ষকরা এলাকায় পৌঁছতেই পরিবেশ অশান্ত হয়ে যায়। মসজিদের বাইরে থেকে স্লোগান দেওয়া হতে থাকে। এরপর হঠাৎই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া শুরু হয়। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে, হয় কাঁদানে গ্যাস ছোড়া। রবিবার ভোরে সমীক্ষকদের পাশাপাশি ছিলেন জেলাশাসক রাজেন্দ্র পানসিয়া, পুলিশ সুপার কৃষ্ণ বিষ্ণোই, মহাকুমাশাসক বন্দনা মিশ্রা, সার্কেল অফিসার অনুজ চৌধুরী।ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ কর্মী সহ বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এই হিংসার ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং সাতটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
আজ সকালে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সম্ভলের পাথর নিক্ষেপের ঘটনার পরে এলাকায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ফারহাত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে৷ তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতঙ্গহিতার১৭০,১২৬ এবং ১৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
Uttar Pradesh Police has arrested a man named Farhat for allegedly spreading rumours in Sambhal following the stone-pelting incident that took place on November 24. He has been booked under Sections 170,126 and 135 of BNS, say Police.
(Video source: Uttar Pradesh Police) pic.twitter.com/PG5fuJR0Fp
— ANI (@ANI) November 28, 2024
ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যাঁরা পাথর ছুড়েছে তাদের পোস্টার টাঙানো হবে জনসমক্ষে। ধরিয়ে দিতে পারলে দেওয়া হবে পুরস্কারও। পরিস্থিতি সামলাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল স্কুল, কলেজ। বন্ধ ছিল ইন্টারনেটও। পরে সেসব স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়।