গুপ্তচর উপগ্রহ(Photo Credits: Twitter/@ISRO)

২২মে, ২০১৯:‌ ফের মহাকাশ গবেষণার সাফল্য ভারতের। বুধবার ভোররাতে আবারও ইতিহাস গড়লের ভারতের বিজ্ঞানীরা। আর্থ অবজার্ভেশন স্যাটেলাইট RISAT-2B সাফল্যের সঙ্গে লঞ্চ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো(ISRO)৷ বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় PSLV-C46 রকেটে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় RISAT-2B৷ এই স্যাটেলাইটটি ওজন ৬১৫ কেজি৷ এই অত্যাধুনিক শক্তিশালী কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশ থেকে দেশের নজরদারি ক্ষমতা আরও বাড়াবে৷

PSLV-C46-র পৃথিবীর বলয় ছাড়তে সময় লাগে ১৫ মিনিট৷ উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে RISAT-2 উত্‍‌ক্ষেপণ করেছিল ভারত৷ মূলত, সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে কার্যকরী এই স্যাটেলাইট। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সেনা ক্যাম্প ও LO‌C‌‌তে নজরদারি চালাবে এই স্যাটেলাইট৷ ‌এর ফলে মহাকাশ থেকে শত্রুপক্ষের উপর নজরদারি হবে আরও নিখুঁত এবং স্পষ্ট। এই উপগ্রহ ছবি পাঠাতে শুরু করলে ভারত মহাসাগরে কোনও চিনা যুদ্ধজাহাজ লুকিয়ে আছে কি না অথবা পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে উগ্রপন্থীরা কী করছে, সেই গতিবিধি এক লহমায় চলে আসবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের কাছে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে পারবে ভারতীয় সেনাও।

এর আগের রিস্যাট পর্যায়ের উপগ্রহগুলির থেকে অনেক শক্তিশালী এই রিস্যাট-২বি(RISAT-2B)। এই মুহূর্তে মহাকাশে আছে ভারতের রিস্যাট-১ (RISAT-1)এবং রিস্যাট-২ উপগ্রহ। তাদের থেকে অনেক নিখুঁত ছবি পাঠাবে এই নয়া উপগ্রহ। দিনের মতোই রাতের বেলাতেও কাজ করবে এই উপগ্রহের শক্তিশালী রেডার। সমুদ্রপৃষ্ঠের ৫৫৭ কিলোমিটার উপর থেকে মেঘের আস্তরণ ভেদ করে শত্রুভূমিতে দৃষ্টি রাখতে পারবে এই নজরদারি উপগ্রহ। নজরদারির কারণেই এই উপগ্রহকে ডাকা ‘আকাশের গোপন চোখ’ বা ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহ নামেও।

কোনও একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ছবি দিনে দুই থেকে তিনবার তুলতে পারবে ভারতের ৬১৫ কেজি ওজনের এই নয়া ‘গুপ্তচর’। এর ফলে কোনও বাড়ি বা অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কী পরিবর্তন হচ্ছে, তা নির্ভুল ভাবে বলতে পারবে রিস্যাট-২। পাকিস্তান ছাড়াও এই ‘গুপ্তচর’ নজর রাখবে আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উপর।