Jay Kishore Pradhan. (Photo Credits: Twitter)

ভুবনেশ্বর, ২৬ ডিসেম্বর: একেই বোধ হয় বলে পড়াশোনার শেষ নেই, আর পড়াশোনার জন্য বয়স কোনও বাধা নয়। বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। একথা বলছি তার কারণ আছে। না হলে ৬৪ বছরের অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী ডাক্তারি পড়া শুরু করবেন কেন? ওড়িশার জয় কিশোর প্রধান (Jay Kishore Pradhan) ঠিক এই কাজটাই করেছেন। সর্বভারতীয় NEET পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি এবার এমবিবিএস (MBBS) পড়া শুরু করবেন। হাজার হাজার অন্য প্রার্থীর মতো এমবিবিএসের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসাবে তিনি নাম লিখিয়েছেন। আর তাঁর এই সাফল্য ভারতের চিকিৎসার ইতিহাসে বিরল ঘটনা হিসাবে বর্ণনা করা হচ্ছে। প্রধান জানিয়েছেন, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন মানুষের সেবা করতে চান।

এসবিআই-র (SBI) প্রাক্তন ওই কর্মী বুধবার প্রতিবন্ধী সংরক্ষণের ক্যাটাগরিতে বীর সুরেন্দ্র সাঁই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর ললিত মোহন বলেন, "এটি দেশের মেডিকেল শিক্ষার ইতিহাসের অন্যতম বিরল ঘটনা। এত বয়সে মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসাবে ভর্তি হয়ে তিনি একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন।" আরও পড়ুন: Pakistan Threatens Google, Wikipedia: আপত্তিকর বিষয়বস্তু থাকার অভিযোগে, Google ও Wikipedia-কে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

জয় কিশোর প্রধান সেপ্টেম্বর মাসে NEET এ অংশ নিয়েছিলেন। এই পরীক্ষাতে বসার বয়সের কোনও সীমা নেই। পরীক্ষায় ভালো র‌্যাঙ্ক করে তিনি এমবিবিএস পড়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। বারগড়ের বাসিন্দা জয় কিশোর প্রধান জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাঁর এক মেয়ের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুই এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হতে এবং চিকিৎসক হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল। এমবিবিএস কোর্স শেষ হওয়ার পর প্রধানের বয়স হবে ৭০ বছর। তিনি জানিয়েছেন যে বয়স তাঁর জন্য একটি সংখ্যা মাত্র। তিনি বলেন, "আমার কোনও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নেই। আমি বেঁচে থাকা পর্যন্ত জনগণের সেবা করতে চাই।"