আর দিন কয়েক পরেই গোটা দেশে পালিত হবে রথযাত্রা। রথযাত্রা অতি পবিত্র এক উৎসব। জগন্নাথদেবের মন্দিরেই এই রথযাত্রা পালিত হয়। এ ক্ষেত্রে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরই আবার সব চেয়ে বড় উৎসবক্ষেত্রে। এর ধর্মীয় উৎসবের দিকে শুধু যে ওড়িয়াবাসীরাই তাকিয়ে বসে থাকেন, তা কিন্তু নয়। বাঙালিরা এবং অন্য অন্য প্রদেশের ভক্তরাও রথ নিয়ে খুবই আগ্রহী ও উজ্জীবিত থাকেন।সাধারণত আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা আয়োজিত হয়। আগামী ২০ জুন ২০২৩-এ পালিত হবে এই বছরের রথযাত্রা। সেদিন দাদা বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে রথে চড়ে মাসি গুণ্ডিচার বাড়ি যাবেন জগন্নাথ দেব।

প্রতি বছর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী পুরী শহরে জড়ো হন। কলকাতা-সহ দেশের আরও অনেক জায়গায় রথযাত্রা পালিত হয়। তবে মূল অনুষ্ঠানটি হয় ওডিশার পুরীতে। হিন্দুধর্মে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার রথযাত্রার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। জগন্নাথ, অর্থাত্‍ জগতের নাথ যিনি। জগন্নাথ দেবকে শ্রীবিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের আর এক রূপ বলে মনে করা হয়।

স্কন্দ পুরাণ, নারদ পুরাণ, পদ্মা পুরাণ ও ব্রহ্মা পুরাণে জগন্নাথের রথযাত্রার উল্লেখ আছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে রথের দড়িতে টান দিলে জ্ঞানে বা অজ্ঞানে করা সমস্ত পাপ ধুয়ে মুছে যায়। এছাড়া রথের দড়িতে টান দিলে জীবনের সব দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একশো যজ্ঞ করার সমান পূণ্য লাভ করা যায় রথের দড়িতে টান দিয়ে।