প্রতীকী ছবি(Photo Credit: Pixabay)

এটাওয়া, ৬ জুলাই: গায়ে ধুতি জড়ানো থাকায় অশীতিপর বৃদ্ধকে ট্রেনেই উঠতে দিল কোচ অ্যাটেন্ড্যান্ট ও পুলিশকর্মী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কানপুর-নিউ দিল্লি শতাব্দী এক্সপ্রেসের। ওই ট্রেনের সি-২ কোচের ৭১ নম্বর আসনটির বুকিংছিল বৃদ্ধ রাম অবধ দাসের নামে। গাজিয়াবাদ যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় তিনি এটাওয়া স্টেশনে পৌঁছে গেলেও ট্রেনে উঠতে পারেননি। সি-২ কোচের অ্যাটেন্ড্যান্ট ও পুলিশকর্মী তাঁকে ট্রেনে উঠতে বাধা দিয়ে পাশের কোচে উঠতে বলেন। দুমিনিটে মধ্যে ট্রেন ছে়ড়ে যাওয়ায় কিছুই করতে পারেননি তিনি। পোশাকের জন্যই এমন আচরণ পেতে হয়েছে অভিযোগ বৃদ্ধের। আরও পড়ুন-Budget 2019:দ্বিতীয় মোদি সরকারের আর্থিক বাজেট আসলে নতুন বোতলে পুরনো মদ বিশেষ, অধীর চৌধুরি

ট্রেন চলে যেতেই স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, এখনও ব্রিটিশ রাজ চলছে নাকি, যে ধুতি পরে ট্রেনে ওঠা যাবে না? ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রাম অবধ বলেন, “আমি স্তম্ভিত। দেখে মনে হচ্ছে আমরা এখনও ব্রিটিশ যুগে বাস করছি। আমার টিকিট থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র আমি অন্য ধরণের পোশাক পরেছি বলে আমাকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হলো না। আমি এই ব্যবহারে খুব আঘাত পেয়েছি।” এই ঘটনার পরে উত্তর-মধ্য রেলওয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধ। গাজিয়াবাদের বরাবাঁকির বাসিন্দা রামঅবোধের অনেক শিষ্য রয়েছে। তাঁদের একজনের বাড়িতে পুজোর জন্য এসেছিলেন তিনি। ফেরার পথেই এই ঘটনা ঘটল।

এই অভিযোগের পরে উত্তর-মধ্য রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অজিত কুমার সিং জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধকে তাঁর কোচে উঠতে না দিয়ে অন্য কোচে উঠতে বলা হয়। কিন্তু সেহেতু এটাওয়াতে মাত্র ২ মিনিট স্টপেজ, তাই তিনি অন্য কোচে উঠতে পারেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া হবে। বয়স্ক মানুষদের সাহায্য করার বদলে বিভ্রান্ত করেছেন তাঁরা। এটা ঠিক নয়। অভিযোগ, ওই অ্যাটেন্ড্যান্ট ও পুলিশকর্মী তাঁকে বলেন, বাবা তুমি ভুল ট্রেনে উঠে গিয়েছ। তোমার ট্রেন কানপুরে আছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এটাওয়া এসে পৌঁছবে। শেষ পর্যন্ত রাম অবধ অন্য একটি কোচে ওঠার চেষ্টা করেন, কিন্তু তার আগেই ট্রেন ছেড়ে দেয়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।