দিল্লি, ৫ জুলাই: মোদি সরকারে সোনার ভারত গড়বে, আর চাষি না খেয়ে মরবে। এদিকে বেকারত্বের জ্বালায় নাভিশ্বাস উঠছে দেশের যুবসমাজের। আর বিজেপি সরকারে পুরনো আর্থিক বাজেটকে (Budget 2019) পালিশ করে নতুন বলে চালানোর চেষ্টা করছে। অর্থনীতির উন্নয়ন নিয়ে বাজেটে একটাও কথা খরচ হল না। কৃষি ও শ্রম ক্ষেত্রে নতুন কোনও ঘোষণা নেই। দ্বিতীয় মোদি সরকারের (Modi Government) এই বাজেট আসলে নতুন বোতলে পুরনো মদের মতো। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বাজেট পেশের পর সাংবাদিকদের একথাই বললেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranja Chowdhury)। আরও পড়ুন-পকেটমারের পকেট কেটে আড়াই লক্ষ হাতিয়ে নিলেন মহিলা পুলিশ ইনস্পেক্টর
অধীরবাবু আরও বলেন, বিজেপির কোনও নতুন কর্মসূচি নেই। তারা বলছে ‘এল ডোরাডো’ অর্থাৎ সোনার দেশ গড়বে। কিন্তু অর্থনীতি এখন কী অবস্থায় রয়েছে, তার মালুম পাচ্ছেন দেশের মানুষ। কর্মসংস্থানের ব্যাপারে বাজেটে কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। কৃষি বা শ্রম ক্ষেত্রেও নতুন কোনও ঘোষণা নেই। টুইট বার্তায় বাজেটকে দিশাহীন বলেছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, বাজেটে কতগুলো বড় বড় কথা বলা হয়েছে। তাকেই নিউ ইন্ডিয়ার বাজেট বলে চালানো হচ্ছে। কোনও আলাদা বৈশিষ্ট্য নেই। আর্থিক পুনরুজ্জীবন, গ্রামীণ বিকাশ, কর্মসংস্থান, শহরের উন্নয়ন, কোনও বিষয়েই বাজেটে কিছু বলা হয়নি। কয়েকটি বড় বড় কথা বলা হয়েছে শুধু। অন্যদিকে বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, ১৩০ কোটি মানুষের শ্রমে যে নতুন ভারত গড়ে উঠেছে, তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বাজেটে। এই বাজেটে কৃষক, তরুণ-তরুণী, মহিলা ও দরিদ্রদের স্বপ্নপূরণ হবে। এই বাজেটকে নতুন ভারতের গেজেট বলেছেন বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাকভি। তাতে সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই বাজেট মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও যুবকদের স্বনিযুক্তিতে সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, এদিনের বাজেট পেশ করতে এসে ব্রিফকেস বদলেই গোটা দেশকে চমকে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সঞ্চয়ে সুদের হারে ক্রমাগত পতন, মূল্যবৃদ্ধির চাপে ন্যুব্জ মধ্যবিত্তের ভার লাঘবের আশা ছিল। কিন্তু না আর্থিক সংস্কার, না মধ্যবিত্তের ঝুলিতে বড় কিছু উপহার— কোনও ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমী কোনও ঘোষণা বা প্রস্তাব নেই নির্মলা সীতারমণের বাজেটে। উল্টে পেট্রোল-ডিজেলের উপর চাপানো হল সেস। যার প্রভাব পড়বে সব ক্ষেত্রে। মূল্যবৃদ্ধির গতি আরও দ্রুততর হবে। বাকিটা পুরনো প্রকল্পগুলির চর্বিত চর্বন।