অশোক গেহলট (Photo Credits: IANS)

জয়পুর, ২০ জুলাই: এখনও টালমাটাল রাজস্থানের রাজনৈতিক (Rajasthan Political Crisis) পরিস্থিতি। এদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) জানান, বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গত ছ'মাস ধরে শচিন পাইলট (Sachin Pilot) কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। একথা বারবার জানানোর পরও কেউ কর্ণপাত করেননি বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।

শচিন পাইলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান," শচিন পাইলট গত ছ'মাস ধরে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। একথা আমি আগে বুঝতে পেরে সকলকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন আমাকে কেউ বিশ্বাস করেনি। একটা সরল মুখের পিছনে আরেকটা চেহারা থাকতে পারে তা কে জানত। আমি এখানে সবজি বেচতে আসিনি। আমি একজন মুখ্যমন্ত্রী।" আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর! নাইট ডিউটি ​​ভাতায় বিপুল বদল মোদি সরকারের

এদিকে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সি পি যোশির নোটিস জারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শচিন পাইলট-সহ বিদ্রোহী ১৯ জন কংগ্রেস বিধায়কের আবেদন শুনানি শুরু হয়। সোমবার সকালে যোধপুর হাইকোর্টের জয়পুর বেঞ্চে শুনানি-পর্বে স্পিকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি স্পিকারের জারি করা নোটিস সম্পর্কে শুনানির ক্ষেত্রে আদালতের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘শচিন পাইলট বা তাঁর শিবিরের কারও বিধায়ক পদ এখন স্পিকার খারিজ করেননি। শুধুমাত্র তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চেয়ে নোটিস দিয়েছেন। কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচিত বিধায়কদের ক্ষেত্রে এমন নোটিস পাঠানোর সাংবিধানিক অধিকার স্পিকারের রয়েছে। এ নিয়ে শুনানি বিচার বিভাগের ক্ষমতা বহির্ভূত।’’

শুনানি-পর্বে আজ সিঙ্ঘঙি জানান, কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্যপদ খারিজের আবেদন এলে সংশ্লিষ্ট বিধায়কের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস পাঠাতে হয়। সংবিধানের দশম তফসিলের ২(১-এ) ধারা অনুযায়ী নোটিস পাঠিয়েছেন স্পিকার জোশী। তিনি কোনও অসাংবিধানিক পদক্ষেপ করেননি। প্রধান বিচারপতি ইন্দ্রজিৎ মহান্তি এবং বিচারপতি প্রকাশ গুপ্তর বেঞ্চে সিঙ্ঘভির মন্তব্য, ‘‘যদি স্পিকার সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের বিরুদ্ধে সদস্যপদ খারিজ বা অন্য কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন তবেই আদালতে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হতে পারে। তার আগে নয়।’’ শচিন শিবিরের তরফে এদিন সাফাই দেওয়া হয়, সংবিধানের দশম তফসিলের ২(১-এ) ধারা অনুযায়ী দলীয় নেতৃত্ব সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করলে তাকে দলত্যাগ বিরোধী পদক্ষেপ বলা যায় না।