ইন্দোর, ২৮ মে: পঙ্গপালের (Locust) হানায় বিপর্যস্ত উত্তর ও মধ্য ভারত। ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল এসে নষ্ট করছে ক্ষেতের ফসল। তাদের হানা রুখতে প্রশাসন থেকে একের পর এক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আপাতত দেশের ৫০ টি জেলায় উপদ্রব চালাচ্ছে এই 'টিড্ডি দল'। এর মধ্যে অধিকাংশ জেলাই রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের। থালা-বাসন বাজিয়েও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক থেকে রাজস্থানে প্রথম ড্রোনের মাধ্যম স্প্রে করে পঙ্গপাল ভাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। চমুর অন্তর্গত সামোদ গ্রামে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এই ড্রোনগুলি বিশেষত পঙ্গপালকে ভয় দেখাতে পারে এমন একটি শব্দ তৈরি করার পাশাপাশি ১০ লিটার রাসায়নিক স্প্রে করতে সক্ষম। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ড্রোন সংযুক্ত স্প্রে ট্যাঙ্কটি উড়ানের ১০ মিনিটের মধ্যেই ফুরিয়ে যায়। এর পর এটি কোনও হ্যান্ডলার দ্বারা ট্র্যাকারের সাহায্যে পুনরায় ভর্তি করে দেওয়া হয়। তবে পঙ্গপাল সতর্কতা সংস্থা এবং রাজ্য কৃষি বিভাগের জন্য এটি একটি ব্যয় সাপেক্ষ ব্যবস্থা। আরও পড়ুন, ভারত ও চিন সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ডোনাল্ড ট্রাম্পের
অন্যান্য প্রতিবেদন অনুসারে, রাজস্থানের দাউসা থেকে পঙ্গপালের ঝাঁক উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় পৌঁছে গেছে। এমনকি পূর্বে রাজস্থান এবং দক্ষিণে মধ্যপ্রদেশ থেকে দুটি দিকে পঙ্গপালের ঝাঁক বিভক্ত হয়ে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে গেছে। বুধবার, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ১৪ টি জেলা প্রশাসনকে পঙ্গপালের হানার প্রতি সজাগ থাকার জন্য নির্দেশ দেন এবং পোকামাকড় দূর করার জন্য থালা, বাসন ও ড্রাম বাজিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
বুধবার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজস্থানের প্রায় ২১ টি জেলা, মধ্যপ্রদেশের ১৮ টি জেলা, গুজরাটের ২ টি জেলা এবং পাঞ্জাবের একটি জেলায় এখনও পর্যন্ত পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পেরেছে। পাকিস্তানের বালুচিস্তান থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে রাজস্থানে পঙ্গপাল আক্রমণ করেছিল। এর পাশাপাশি, ভারত সরকার ব্রিটেনের সংস্থা মাইক্রন থেকে ৬০ টি স্প্রে মেশিন কেনার বরাত দিয়েছে এবং লম্বা গাছ এবং পঙ্গপালগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য দুটি সংস্থাকে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য ড্রোন সরবরাহের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে পুলিশ সাইরেন বাজিয়ে পঙ্গপাল ভাগানোর ব্যবস্থাও শুরু করছে।