গুরুগ্রাম, ১১ জুলাইঃ মেয়ের রোজগারের টাকায় খেতে হচ্ছিল। আর তা নিয়ে পাড়াপ্রতিবেশী ব্যঙ্গবিদ্রুপ করতেন। সেই অবসাদ থেকেই হরিয়ানার টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে গুলি করে খুন করেছেন তিনি। গ্রেফতারির পর পুলিশকে এমনই বয়ান দিয়েছেন অভিযুক্ত বাবা দীপক যাদব (Deepak Yadav)। এদিকে রাধিকা যাদব খুনের তদন্তে নেমে পুলিশের সামনে ভিন্ন তথ্য উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, মাসে ১৫ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা আয় কররেন দীপক। গুরুগ্রামে একটি বিলাসবহুল ফার্মহাউসও রয়েছে তাঁর। সেই তথ্য সামনে আসতেই রাধিকা যাদব খুনের মামলা (Radhika Yadav Murder Case) নয়া মোড় নিয়েছে।
বিপুল সম্পত্তির মালিক রাধিকার বাবা
অভিযুক্ত দীপকের এক পরিচিত ব্যক্তি এনডিটিভিকে জানিয়েছে, গুরুগ্রামে (Gurugram) একাধিক সম্পত্তি রয়েছে দীপক যাদবের। আর সেই সমস্ত সম্পত্তি থেকেই ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা আয় করতেন তিনি। একটি বিলাসবহুল ফার্মহাউসও রয়েছে তাঁর। গ্রামের সবাই জানেন যে, দীপক ধনী ব্যক্তি।
মেয়ে টেনিস খেলোয়াড় রাধিকাকে মারার জন্যে দীপক একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত .32 বোর রিভলবার ব্যবহার করেছিলেন। সেই আগ্নেয়াস্ত্রের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওই ব্যক্তি আরও বলেন, কেবলমাত্র সঠিক সংযোগ এবং আর্থিক প্রভাবশালী লোকেরাই এই ধরণের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক নিজের কাছে রাখতে পারেন। কোনও সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়।
হরিয়ানার (Haryana) গুরুগ্রামের সুশান্ত লোক ২-এর ব্লক জি-তে নিজের বাড়িতেই খুন হন রাধিকা। ১০ জুলাই, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ রান্নাঘরে ছিলেন তিনি। বাবা পিস্তল নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে পরপর পাঁচ রাউন্ড গুলি চালান। তিনটি গুলি এসে লাগে রাধিকার শরীরে। দুটি গুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় রাধিকা।