Gujarat Shocker: অধ্যাপকদের বাথরুমে ঢোকায় ছাত্রীকে দরজা আটকে পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি গুজরাতে
প্রতীকী ছবি

আমেদাবাদ: পড়ুয়াদের জন্য নির্দিষ্ট বাথরুমে (student's washroom) নিকাশি সমস্যার (drainage) কারণে জল জমে নোংরা হয়েছিল। তাই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে ফ্রেস হওয়ার জন্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের (Professors) জন্য নির্দিষ্ট বাথরুমে (toilet) ঢুকে ছিল এক ছাত্রী (girl student)। বিষয়টি জানতে পেরে এক অধ্যাপক বাথরুমের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ (door locked) করে তাকে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় তার কাছ থেকে ২০০ টাকা জরিমানা (fine) দাবি (Demands) করার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি (threatened to fail the student in her exam) দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে স্থানীয় থানায়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ঘটনাটির সূত্রপাত হয় গত সোমবার দুপুরে। গুজরাটের (Gujarat) আমেদাবাদ (Ahmedabad) শহরের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত একটি কলেজে পরীক্ষা দিতে গেছিল সেখানকার বি এ (B A) সাইকোলজি (Psychology) সেমেস্টার ওয়ানের এক ছাত্রী। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে পড়ুয়াদের জন্য নির্ধারিত বাথরুমে ফ্রেস হতে গেছিল সে। কিন্তু, নিকাশি নালার সমস্যার জন্য সেখানে জল জমে নোংরা হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের জন্য নির্দিষ্ট বাথরুমে যায় ওই ছাত্রী।

এই ঘটনার খবর অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের কানে যেতেই তাঁদের মধ্যে একজন এসে ওই বাথরুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। শুধু তাই নয়, ওই ছাত্রীর থেকে বাথরুমে ঢোকার জন্য ২০০ টাকা জরিমানা চায়। না দিলে তাকে পরীক্ষা ফেল করিয়ে দেবেন বলে হুমকিও দেন।

মেয়েটি কোনওক্রমে ওই বাথরুম থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে এসে পরিবারের সদস্যদের সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে। পরে তার কাকা আমেদাবাদের এলিসব্রিজ (Ellisbridge) পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের অধ্যাপকের নামে এই বিষয়ে (Gujarat Shocker) একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।