সংসদের অধিবেশনে বক্তব্য় রাখছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ(Photo Credit: Twitter)

দিল্লি, ২০জুনগত পাঁচ বছর ধরে আচ্ছে দিনের কাজ করেছে কেন্দ্র, সবকা সাথ সবকা বিকাশ সম্পন্ন হয়েছে। তাইতো ফের ক্ষমতায় এসেছে মোদি সরকার। এদিন সংসদের যৌথ অধিবেশনে (Ram Nath Kovind Addresses Joint Session of Parliament) এভাবেই বিজেপি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ram Nath Kovind)। বললেন, ‘‘উন্নয়নমূলক কাজকর্মের গতি অব্যাহত রাখার পক্ষেই এবার স্পষ্ট মত দিয়েছেন দেশের মানুষ।’’ আগামী পাঁচ বছরে দ্বিতীয় মোদি সরকারের কাজকর্মের দিশা কী হওয়া উচিত, এদিনের বক্তব্যে তারও উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রপতি। আরও পড়ুন-শপিং মলে থাকবে না অন্তর্বাস পরা ম্যানিকুইন, শমন পাঠাল শিবসেনা

তিনি জানিয়েছেন, একের পর এক কল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি সামাজিক সাম্য রক্ষা করা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ও দেশের মহাকাশ কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। সরকারের কাজকর্মে খুশি কোবিন্দ এদিন প্রশংসার ঝাঁপি খুলে বসেন। তিনি জানান, মোদি সরকার তিনতালাক, নিকাহ হালালার মতো প্রথা বিলুপ্তির কাজে অগ্রহসর হয়েছে, এর থেকে ভাল আর কিছু হতেই পারে না। তা ছাড়াও জিএসটির স্তর সরলীকরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে সরকারের মাথায়। খুব শিগগির সরকারের বদান্যতায় দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ৫০ শতাংশ আসন বাড়তে চলেছে। একইসঙ্গে পরিবেশের কথা চিন্তা করে জল সংরক্ষণে জল শক্তি মন্ত্রক গঠন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটির উপর বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণের (Balakot Air Strikes) ঘটনা প্রমাণ করেছে জাতীয় নিরাপত্তাকে কতটা গুরুত্ব দেয় আমার সরকার। এই দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে অনড় থেকে আমার সরকারই রাষ্ট্রপুঞ্জকে দিয়ে মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করিয়ে নিতে পেরেছে।

বহু দিন ধরে দেশের আপামর মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলির উপর নজর দেওয়া হয়নি। সেগুলি মেটানো হয়নি। আমি খুশি, আমার সরকার গত পাঁচ বছরে আপামর মানুষের সেই মৌলিক সমস্যাগুলি মেটাতে এগিয়ে এসেছে। মানুষের কাছে পৌঁছতে পেরেছে। অসীম দারিদ্র থেকে মানুষকে বের করে আনতে পেরেছে। দেশবাসীর যা যা পাওয়ার অধিকার রয়েছে, মোদী সরকার সেই সবের ব্যবস্থা করে মানুষকে মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে দিতে পেরেছে। তাই ফের ক্ষমতায় নরেন্দ্র মোদি।