Prayagraj Flood. (Photo Credits:X)

Prayagraj Flood: গঙ্গা নদী ও যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমা পাড় করেছে। ফলে জলের তলায় উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ। যোগী রাজ্যের প্রয়াগরাজের (আগে বলা হত এলাহাবাদ নামে) অন্তত ২৪টি শহর ও ১২টি গ্রাম বন্যার কবলে। সাধারণ মানুষ অসহায় অবস্থায় সাঁতরে ঘর ছাড়ছেন। বহু বাড়ি, স্কুলবাড়ি, দোকান, এমনকি শ্মশান ঘাটও জলের তলায় চলে গিয়েছে। বন্যার জল ইতিমধ্যে শহরের নিম্নাঞ্চল, যেমন শিবকুটি, নেওয়াদা, সালোরি-তে প্রবেশ করেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। বৃষ্টি ও জল ছাড়ার কারণে প্রয়াগরাজে গঙ্গা ও যমুনা নদীর জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গঙ্গার জলস্তর বেশ কিছু জায়গায় ৮৪ মিটারের কাছে পৌঁছেছে। যেখানে চরম বিপদসীমা হল ৮৪.৭৩৪ মিটার। যমুনার জলস্তর নৈনীতে ৮৩.৮১ মিটারে পৌঁছেছে, বিপদসীমার কাছাকাছি। তার মধ্যে আবার জলস্তর প্রতি ঘণ্টায় ২৬-২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রয়াগরাজের বন্যার ভিডিও এখন সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল

প্রয়াগরাজের জল যন্ত্রণা ও বন্যার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক শিশুকে মাথার ওপর হাত দিয়ে তুলে তার বাবা ও মা বুক ডোবা জল পেরিয়ে ঘর ছাড়ছে। সেখানকার অনেকেই প্রশাসনের গাফলতির কথা বলছে।

দেখুন প্রয়াগরাজ বন্য়ার ভিডিও

প্রয়াগরাজের রাস্তায় নৌকা

ডুবেছে  সঙ্গমের কাছে হনুমান মন্দির

ত্রাণসামগ্রী নৌকার মাধ্যমে দুর্গত এলাকাগুলিতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত সহায়তা দেওয়া যায়। বন্যার জেরে দরগঞ্জের শ্মশানঘাট সম্পূর্ণ জলের নিচে চলে গেছে। সংগমের কাছে হনুমান মন্দির পর্যন্ত জল পৌঁছে গেছে। এই খবরটাতেই বোঝা যায় প্রয়াগরাজের পরিস্থিতি ঠিক কতটা গুরুতর। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এবং তা মোকাবিলায় প্রশাসন ও উদ্ধার বাহিনী সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। রাজ্যের এসডিআরএফ (স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স) ও জল পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধারকাজে রয়েছে।

জলের তলায় প্রয়াগরাজ

চলছে উদ্ধারকাজ

তীর্থ পুরোহিত ও স্থানীয় দোকানদাররা নিজেদের মালপত্র ও সামগ্রী নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোট ৮৭টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ১২টি শহরাঞ্চলে অবস্থিত। অ্যানি বেসান্ত স্কুলে সর্বাধিক ১০২টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬০ লক্ষ টাকার ত্রাণ প্যাকেজ চাওয়া হয়েছে, যাতে পুনর্বাসন ও ত্রাণ কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে প্রয়াগরাজের মেয়র গণেশ কেশওয়ারনি বন্যাকবলিত এলাকাগুলিতে কীটনাশক ছড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসন সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে এবং ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে।