সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের নিতীশের রাজ্যে বেড়েছে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির মতো অপরাধমূলক ঘটনা। বিগত এক-দু’মাসে এই ধরনের ঘটনা অনেকটাই বে়ড়েছে। আর সেই কারণে একদিকে জেডিইউ-বিজেপির ওপরে আঙুল তুলছে তেজস্বীরা। অপরদিকে পাল্টা আরজেডি-কংগ্রেস-সিপিএমের বিরুদ্ধে অভিযোগের বন্দুক চাপাচ্ছেন নীতিশ কুমাররা। এদিকে বিহারের রাজনীতিতে নবাগত জন সুরাজ পার্টির সুপ্রিমো প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) নীতিশ ও তেজস্বীকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
লালু-তেজস্বীকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা পিকে-র
চম্পারণে নির্বাচনী প্রচারে পিকে বলেন, নীতিশ কুমার অপরাধ জগতের পিতামহ ভীষ্ম হলে তেজস্বী যাদব হচ্ছেন দুর্যোধন। দুজনের জমানাতেই বিহারে অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। যে সময় লালুপ্রসাদ যাদব মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় বাবা ও ছেলে মিলে বিহারে একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। বিহারের প্রতিটি মানুষ জানে সেই সময় দুর্নীতি ও অপরাধ চরমসীমায় পৌঁছেছিল। এখন তেজস্বী যাদব যখন এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন মনে হয় সিংহ তৃণভোজী হওয়ার গুনাগুন বোঝাচ্ছেন।
আরজেডি নেতাকে গুলি করে খুন
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই পাটনার চিত্রগুপ্ত নগরে আরজেডি নেতা তথা আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী রাজকুমারকে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। এর আগে গত জুলাই মাসে হাসপাতালে ঢুকে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই মাসে বিহারের মধ্যে কমপক্ষে ৫০টি খুনের ঘটনা ঘটেছিল, যা কার্যত নজিরবিহীন।