Prashant Kishor, Samrat Choudhary. (Photo Credits:X)

Prashant Kishor on Samrat Choudhary: নীতীশ কুমারের  দল ভোটে ভাল ফল না করলে, আর বিজেপি একক সংখ্য়াগরিষ্ঠতার কাছাকাছি থাকলে মহারাষ্ট্রের মডেলে বিহারে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন কোনও বিজেপি নেতা। আর সেই দৌড়ে ফেভারিট বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। মহারাষ্ট্রে যেভাবে শিবসেনার একনাথ শিন্ডেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় বিজেপির দেবেন্দ্র ফদনবিশকে, সেই একই ধরনের ভোটের ফল হলে নীতীশ কুমারকে সরিয়ে বিজেপির সম্রাট চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। এমন জল্পনা বিহার রাজনীতিতে বারবার শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বিজেপিকে যাকে মুখ হিসাবে তুলে ধরে বিহারে মসনদ দখলের স্বপ্ন দেখছে, সেই সম্রাট চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন দেশের জনপ্রিয় ভোট বিশেষজ্ঞ তথা জনসুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর। প্রশান্তের অভিযোগে,বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সম্রাট চৌধুরী মাধ্যমিক পাস করতে পারেননি, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট (Doctor of Letters) ডিগ্রি পান। এই ডি-লিটকে সাধারণভাবে বলা হয়, ডক্টরেট উপাধি। সম্রাট চৌধুরীকে সাহিত্যে ডক্টরেট দেওয়া হয়।

১৯৯৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন সম্রাট চৌধুরী: প্রশান্ত কিশোর

পটনায় সাংবাদিক বৈঠক করে জনসুরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর সরাসরি প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে। ভোট-কৌশলী কিশোরের অভিযোগ, যিনি মাধ্যমিক পরীক্ষাই পাস করতে পারেননি, তিনি কীভাবে মার্কিন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি-লিট (Doctor of Letters) ডিগ্রি লাভ করেন! বিহার রাজনীতিতে ঝড় তোলার চেষ্টা নামা প্রশান্ত কিশোরের দাবি, বিহার স্কুল এক্সামিনেশন বোর্ড (BSEB) আদালতে একটি হলফনামায় জানিয়েছিল, ১৯৯৮ সালের এক খুনের মামলার সময় সম্রাট চৌধুরী মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল মাত্র ২৩৪। এমনকি ২০১০ সালের নির্বাচনী হলফনামাতেও তিনি নিজেকে শুধু সপ্তম শ্রেণি উত্তীর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। অথচ পরে তিনি হঠাৎই ডি-লিট ডিগ্রির দাবি করতে শুরু করেন।

দেখুন খবরটি

নীতীশের দলের নেতার বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার বেআইনিভাবে সম্রত্তি কেনার অভিযোগ

এই প্রেক্ষিতে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনকে (ECI) অবিলম্বে সম্রাট চৌধুরীর কাছ থেকে দশম শ্রেণি উত্তীর্ণের সার্টিফিকেট চাওয়া উচিত। তা ছাড়া তাঁর একাধিকবার নাম পরিবর্তনের বিষয়টিও তুলে ধরেন কিশোর। কখনও রাকেশ কুমার, কখনও রাকেশ কুমার, কখনও সম্রাট কুমার, আর শেষে সম্রাট চৌধুরী। এভাবে নাম পাল্টে নথি গোপনের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে জেডিইউ নেতা তথা মন্ত্রী অশোক চৌধুরীকেও একহাত নেন কিশোর। অভিযোগ করেন, গত তিন বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার জমি বেআইনি উপায়ে কিনেছেন অশোক চৌধুরী। তাঁর কথায়,' এ সবই দুর্নীতির জাল।'