
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) হাতে শুরু হয়েছিল অযোধ্যার নবনির্মিত মন্দিরের যাত্রা। তবে সম্পূর্ণ মন্দিরের নির্মাণকাজ শেষের আগেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। বিতর্কিত মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে বিরোধীরা বলেছিল পুরোপুরি নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনৈতিক পদক্ষেপ। অবশেষে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার বছর দেড়েক পর আগামী ৫ জুনের মধ্যে শেষ হচ্ছে রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ। আর তার দু’দিন আগে অর্থাৎ আজ (৩ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে এক বিশেষ আচার অনুষ্ঠান।তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের শেষে অর্থাৎ, ঠিক যে দিন মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হবে, ওই দিনই হবে রাম দরবারের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ (Pran Pratishtha Ceremony of Ram Darbar) অনুষ্ঠান। ২২ জানুয়ারির মত ৫ জুনের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানও জাঁকজমকপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এবারের অতিথি তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ কেন্দ্র বা রাজ্যের ভিআইপিরা থাকছেন না। বিভিন্ন ধর্মের আধ্যাত্মিক গুরুদের আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। পুজোও করবেন ভিন্ন পুরোহিতরা।
সম্পূর্ণ হওয়া রামমন্দিরের প্রথম তলায় একটি সুসজ্জিত রাম দরবার (Ram Darbar) স্থাপন করা হচ্ছে, যার অংশ হিসেবে ২৩শে মে ভগবান রামের সাথে ১৮টি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। আগের জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠানে রাম লালা গর্ভগৃহে স্থান করে নিলেও, প্রথম তলায় 'রাজা' রূপে ভগবান রাম থাকবেন।রাম দরবারের প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আজ(৩ জুন)থেকে শুরু হবে এবং শেষ হবে ৫ জুন। প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের একদিন পর অর্থাৎ আগামীকাল থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রথম তলা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
কবে যেতে পারবেন সাধারণ ভক্তরা?
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ৫ জুন প্রাণ প্রতিষ্ঠার এক সপ্তাহ পর, রাম মন্দিরের নবনির্মিত অংশগুলি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। রাম মন্দিরের প্রথম তলায় রাম দরবারে প্রতিদিন মোট ৭৫০ জন ভক্তকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া 'আগে আসলে আগে পাবেন' ভিত্তিতে ৫০টি পাস দেওয়া হবে। মন্দির ট্রাস্ট তীর্থযাত্রীদের সহজ এবং আরামদায়ক দর্শনের জন্য কিছু বিধিনিষেধ নির্ধারণ করেছে যেগুলো খুব তাড়াতাড়ি সকলকে জানানো হবে। এ ছাড়া রাম মন্দির চত্বরে আরও সাতটি মন্দির নির্মিত হয়েছে। সেই মন্দিরগুলির ধর্মীয় অনুষ্ঠানও একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্মাণকাজ ৫ জুনের মধ্যে শেষ হলেও, মন্দিরের নীচের অংশে ভগবান রামের কাহিনী খোদিত দেয়ালচিত্রগুলি স্থাপন করার কাজ বাকি থাকবে।’
মন্দির কমপ্লেক্সের সমস্ত নির্মাণ কাজঃ
ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে রাম মন্দিরের সীমানা এবং অডিটোরিয়াম ছাড়া মন্দির কমপ্লেক্সের সমস্ত নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ভবন নির্মাণ সমিতি কর্তৃক নির্মিত যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র এবং এসটিপি নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর, সেগুলি রাম মন্দির ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া আগস্টের শেষ সপ্তাহে মূল মন্দিরটি হস্তান্তর করা হবে, আর নভেম্বরের শেষে পরকোটা রাম মন্দির ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হবে।