বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্ডা। (Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২৫ অক্টোবর: কয়েক বছর আগেই এয়ারহোস্টেস গীতিকা শর্মা-র আত্মহত্যা মামলায় কাঠগড়ায় ওঠা সে সময়ের হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়ক-মন্ত্রী গোপাল কান্ডার চরম সমালোচনায় মেতেছিল বিজেপি (BJP)। সালটা ছিল ২০১৩। তার মধ্যে দেশের রাজনীতিতে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। কংগ্রেস টিকিট না দেওয়ায় একসময় কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিং হুডা (Bhupinder Singh Hooda) জমানার মন্ত্রী গোপাল কান্ডা (Gopal Kanda) নির্দলের টিকিটে দাঁড়িয়ে সিরসা কেন্দ্র থেকে এবারের হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আসেন। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল এমন এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে যে পাঁচ-সাতজন বিধায়কের সিদ্ধান্তে রাজ্যের ক্ষমতা বদলে যেতে পারে। ৪০টি আসনে জিতে বিজেপি এখন ক্ষমতা দখল থেকে ৬টি আসন দূরে। এমন সময় প্রভাবশালী গোপাল কান্ডাই বিজেপির তুরুপের তাস হয়ে উঠেছেন।

নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে গোপাল নিজে বিজেপি সরকার গড়ায় সমর্থন দিয়েছেন, পাশাপাশি অন্যান্য বিধায়কদেরও জোগাড় করে মনোহর লাল খাট্টারের পক্ষে নিয়ে আসার কাজটা করছেন। যেহেতু জেজেপি বিজেপিকে সমর্থন করছে না, তাই গোপাল কান্ডাই এখন বিজেপির সবচেয়ে বড় ভরসা। আরও পড়ুন-অসুস্থ মরিয়ম নওয়াজ! বাবার সঙ্গে একই হাসপাতালে থাকার নিদান দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গীতিকা শর্মা খুনে অভিযুক্ত বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্ডার সাহায্য নিয়ে বিজেপির সরকার গঠন করার ইচ্ছার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী (Uma Bharti)। উমা সাফ বললেন, ' ভোটে জেতা মানেই শুদ্ধ হয়ে যাওয়া নয়। ‌গোপাল কান্ডার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর জন্যেই আত্মহত্যা করেছিলেন গীতিকা শর্মা। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলছে। আইন আইনের পথে চলবে। সেই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না। ' কংগ্রেসও গোপাল কান্ডা ইস্য়ুতে বিজেপির বিরুদ্ধে বড় তোপ দাগছে। গোপাল কান্ডা ইস্য়ুতে দিল্লির বিজেপি নেতারাও যে বিশেষ স্বস্তিতে নেই তা নানা টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারেই পরিষ্কার। তবু কেন গোপাল কান্ডার সমর্থন নেওয়া হল।

অনেকেই বলছেন, হরিয়ানার ক্ষমতা দখলকে প্রেস্টিজ ফাইট হিসেবে দেখছে বিজেপি। যেহেতু একক বৃহত্তম দল তারাই হয়েছে, তাই সরকার গড়তে এতটা মরিয়া বলেই বিজেপি নেতারা বলছেন। কোনও কোনও বিজেপি নেতা বলছেন, গোপাল মান্ডাকে আদালত এখনও দোষী সাব্যস্ত করেনি। তা ছাড়া উনি জনতার আদালতে জিতে এসেছেন। যদিও এই কথায় বিজেপির অস্বস্তি কাটছে না। যে কোনও উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তাতে ভাবমূর্তি ধাক্কা লাগে। সে বিষয়টা মানছেন বিজেপির কিছু নেতা। তবে হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল খুব জরুরী বলেও তারা মনে করছেন। একবার ক্ষমতায় এসে ভাল কাজ করতে পারলে মানুষ সব ভুলে যায়।