উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ার (Photo: ANI)

মুম্বই, ২৩ নভেম্বর: দলের ৮-১০ জন বিধায়ক আজ রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বলে জানালেন এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। তিনি জানান, তিনজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই দলে মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন। শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray) সঙ্গে নিয়ে আজ এই দাবি করেন পাওয়ার। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রধান বলেন, "অজিত পাওয়ারের সঙ্গে যাওয়া এনসিপি বিধায়করা শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতেন না।" তাঁর দাবি, দেবেন্দ্র ফডনবিশ সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। পাওয়ার বলেন, ""আমরা জানতে পেরেছি যে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে আমাদের ৮-১০ বিধায়ক হঠাৎ করে বৈঠকের জন্য জড়ো হয়েছিল। পরে আমরা জানি যে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। আমাদের এই বিষয়ে কোনও ধারণা ছিল না। কোনওভাবেই আমরা এর অংশ নই। এই সব অজিত পাওয়ার নিজেই করেছে।"

সাংবাদিক বৈঠকে তিন এনসিপি বিধায়ক ছিলেন, যারা অজিত পাওয়ারের সঙ্গে গেছিলেন। তাঁরা দাবি করেন তাঁদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। এনসিপি বিধায়ক রাজেন্দ্র শিংগনে বলেন, "আমরা সকালে অজিত পাওয়ারের কাছ থেকে ফোন পেয়ে গেছিলাম। আমাদের কোনও ধারণা ছিল না যে এটি দলীয় অবস্থানের বিরোধী। আমরা কেবল অজিত পাওয়ারের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি।" রাজেন্দ্র শিংগনের বক্তব্য আরও দুজন বিধায়ক সমর্থন করেন। তাঁরা বলেন, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমরা জানতাম না। আরও পড়ুন: Sharad Pawar On Government Formation: ভাইপো অজিতের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত, এনসিপি-র নয়, বললেন শরদ পাওয়ার; পেছন থেকে ছুরি মেরেছে, দাবি শিবসেনার

শরদ পাওয়ার বলেন, "প্রতিটি দল এবং সমস্ত বিধায়ক যারা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের অংশ ছিল তাঁদের নাম একটি কাগজের টুকরোতে লেখা ছিল। সেই কাগজে অজিত পাওয়ারের সই ছিল কারণ তিনি পরিষদীয় দলনেতা। অজিত সেই চিঠিটি রাজ্যপালের কাছে নিয়ে গিয়ে বিজেপিকে সমর্থনের কথা বলেন। অজিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সেটা সর্বসম্মতিক্রমে হবে।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার যারা আজ শপথ নিয়েছে, তাদের কাছে সংখ্যা নেই। শিবসেনার নেতৃত্বেই আমরা সরকার গড়ব। আমরা এক আছি।"

এদিকে দেবেন্দ্র ফডনবিশ সরকারকে মহারাষ্ট্রে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হিসেবে অভিহিত করেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, "এটা একটি নতুন ধরনের জিনিস যা দেশ প্রত্যক্ষ করেছে ... এটি ভারতের সংবিধান এবং মহারাষ্ট্রের জনগণের আদেশের প্রতি অসম্মান করা ছাড়া কিছুই নয়। বিজেপি যে রাজনৈতিক সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছে, তা ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এক হয়ে আছি এবং মহারাষ্ট্রে আমরাই সরকার গঠন করব।"