আগামী ১৩ নভেম্বর দুই রাজ্যের নির্বাচনের পাশাপাশি কয়েকটি রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উপনির্বাচন। উপনির্বাচন হতে চলেছে রাজস্থানের ৭টি বিধানসভা আসনেও। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র ১১ মাস পরে এই আসনগুলিতে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রগুলিতে প্রচার জোরদার করা হয়েছে।সাতটির মধ্যে পাঁচটি আসনের বিধায়করা সাংসদ হয়ে যাওয়ায় সেখানে পুনরায় নির্বাচন হচ্ছে। ওই পাঁচটি বিধানসভাগুলি হল দৌসা, দেওলি-উনিয়ারা, ঝুনুনু, চৌরাসি এবং খিনভসার। এছাড়া বিধায়কের মৃত্যুতে সালম্বর ও রামগড় আসন খালি হয়েছে।সেখানেও ১৩ তারিখ নির্বাচন হবে। এই উপ-নির্বাচনে মোট ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী কংগ্রেস এবং বিজেপি সাতটি আসনেই তাদের প্রার্থী দিয়েছে।রাজস্থানের ৭টি উপনির্বাচন আসনের মধ্যে মাত্র ১টি আসন বিজেপির দখলে রয়েছে।২০২৩ সালের নির্বাচনে, বিজেপির দখলে কেবল সালম্বর আসন ছিল। অন্য ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতে কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। একটি আসন ভারতীয় আদিবাসী পার্টি এবং ১টি আসনে ছিলেন রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির (আরএলপি) একজন বিধায়ক। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শেখাওয়াটি, দৌসা, দেওলি-উনিয়ারা, রামগড় এবং ঝুনঝুনু বিধানসভা আসন থেকে কংগ্রেস বিধায়করা নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এছাড়া খিনভসারে আরএলপি এবং চৌরাসীতে ভারত উপজাতি পার্টির প্রার্থীরা তাদের আসন ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারী এবং প্রবীণ নেতা সতীশ পুনিয়া সহ বিজেপির ১৭ জন নেতা আজ বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী জনসভা করছেন।
কংগ্রেসের তরফে প্রবীণ নেতা শচীন পাইলট, বিরোধী দল নেতা টিকারাম জুলি সহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও প্রচারে ব্যস্ত। অন্যদিকে দৌসা বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য আজ হোম ভোটিং শুরু হয়েছে। বাকি ছয়টি আসনে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে হোম ভোটিং।