মুম্বই, ২৫ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ২৭ হাজার কোটি টাকার সেচ দুর্নীতি মামলায় ক্লিনচিট পেয়ে গেলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার (Deputy Chief Minister Ajit Pawar)। সোমবার দুপুরে জানা গেল দুর্নীতি দমন ব্যুরো, ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে দলীয় পদ হারানো এই এনসিপি নেতাকে। নটি ফাইল ‘ক্লোজড’ করে দিয়েছে দুর্নীতি দমন ব্যুরো (ACB) ।এই ক’দিন আগেই মহারাষ্ট্রের ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দুর্নীতি ইস্যুতে অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে শোলের সংলাপ উদ্ধৃত করে বলেছিলেন, “চাক্কি পিসিং পিসিং পিসিং!”মধ্যরাতের মহারাষ্ট্র নাটকের পর সেই অজিত পাওয়ারই এখন ফডনবিশের ডেপুটি।
কাকতালীয়? এসব দেখে অনেকেই বলছেন, এটাই বিজেপির আসল খেলা। শুধু দেবেন্দ্র ফডনবিশ নয়। এনসিপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে অজিতের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। মহারাষ্ট্রের প্রান্তে প্রান্তে জনসভা করে বলেছিলেন, আপনারা কি চান আর ওই রকম দুর্নীতিগ্রস্ত কেউ মন্ত্রী হোক। কিন্তু রাজনীতির সাপলুডোয় সেই অজিতকেই বিজেপি তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছে। সেই সরকার বৈধ না অবৈধ তা জানা যাবে মঙ্গলবার দুপুরে। কিন্তু তার আগেই দুর্নীতির অভিযোগের কাদা ধুয়ে গেল অজিতে গা থেকে। তবে যখন অভিযোগ উঠল সেসময়টা ছিল এমন, তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল মারাঠা মুলুকে। এমনকী জাতীয় রাজনীতিও আন্দোলিত হয়েছিল এই বিরাট অঙ্কের দুর্নীতি ইস্যুতে। মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অজিত পাওয়ারকে। কিন্তু ২০১২ সালে পৃথ্বীরাজ চৌহানের কংগ্রেস সরকার মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শ্বেতপত্র প্রকাশ করে অজিতকে ক্লিনচিট দিয়ে দেয়। পাল্টা অভিযোগ তোলে আম আদমি পার্টি। ফের সরগরম হয় মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। ২০১৪ সালে দেবেন্দ্র ফডনবিশের সরকার আসার পর সেচ দুর্নীতি মামলার নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। তাতেই এদিন ক্লিন চিট দিয়ে দেওয়া হল মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীকে। আরও পড়ুন-Terror Attack: রাজধানীতে নাশকতার ছক বানচাল, আইইডি-সহ ৩ আইসিস জঙ্গিকে পাকড়াও পুলিশের
এদিকে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুর্নীতির বোঝা ঘাড় থেকে সরিয়ে ফেললেন অজিত পাওয়ার। বিজেপির সঙ্গে যাওয়া মানেই দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হয়ে যাওয়া। এমনটাই বলছে নিন্দুকরা।