ঝাড়খণ্ডে আগামীকাল (২৩ নভেম্বর) বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা হবে। রাজ্যের ৮১ টি বিধানসভা আসনের জন্য শান্তিপূর্ণ গণনা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন বিস্তৃত ব্যবস্থা করেছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কে রবি কুমার বলেছেন, রাজ্যের জেলা সদর জুড়ে ২৪টি গণনা কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সকাল ৮টায় পোস্টাল ব্যালট দিয়ে প্রথমে গণনা শুরু হবে।
ঝাড়খণ্ডে মোট ৮১টি বিধানসভা আসনে ম্যাজিক ফিগার ৪২। ২০১৯ সালের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে, জেএমএম-নেতৃত্বাধীন জোট ৪৭টি আসন জিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা পেয়েছিল ৩০টি আসন, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন জিতেছিল। এবারের ভোটে লড়াই মূলত ইন্ডিয়া জোট বনাম এনডিএর মধ্যে। ইণ্ডিয়া জোটে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (Jharkhand Mukti Morcha), কংগ্রেস এবং আরজেডি সহ আরও কয়েকটি ছোট দল রয়েছে অন্যদিকে এনডিএতে রয়েছে বিজেপি, এজেএসইউ (AJSU), জেডিইউ (JDU) এবং এলজেপি (LJP).
নির্বাচনের আগে চলতি বছরে ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে। যার জেরে হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগ করতে হয়। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পাই সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করে জেএমএম। হেমন্তের গ্রেফতারের পর চম্পাই সোরেন সরকার আস্থা ভোটেও জিতে যায়।কিন্তু হেমন্ত জামিনে মুক্তি পেতেই চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হয়। হেমন্ত সোরেন ১৩তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরে দলের মধ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে চম্পাই ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) চলে যান।
২০০০ সালে গঠিত ঝাড়খণ্ড মাত্র ২৪ বছরে ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী দেখেছে, যা রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। সাতজন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে, যাঁরা রাজ্যের নেতৃত্ব দিয়েছেন, শুধুমাত্র বিজেপির রঘুবর দাস কোনও বাধা ছাড়াই সম্পূর্ণ পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করেছেন। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের তিনটি ভিন্ন ঘটনাও ঘটেছে।