পাটনা, ২৭ ডিসেম্বর: আগেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তথা এনআরসি-র বিরোধিতায় মুখ খুলেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহারে এনআরসি হবে না। এবার তাঁর দল জেডিইউ জানিয়ে দিল, যতক্ষণ না সবরকম ধোঁয়াশা কাটাতে পারছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ততক্ষণ পর্যন্ত বিহারে এনপিআর হবে না। এদিকে বিজেপির সঙ্গে জোটে গিয়েই বিহারে ক্ষমতায় এসেছে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ। এদিকে জেডিইউ-র মুখপাত্র কে সি ত্যাগী বলেছেন, এনপিআর ও এনআরসি নিয়ে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের কোনও মিল নেই। আর এই মতপার্থক্যই ধোঁয়াশা বাড়িয়েছে।
এনআরসি-র প্রথম ধাপ হল এনপিআর, কিরণ রিজিজু একথা বললেও অমিত শাহ বলছেন এনপিআর ও এনআরসি-র মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই। একজন বলছেন সম্পর্ক আচে, আর একজন বলছেন নেই। এসব শুনে জনমানসে হতাশা ক্ষোভ দুটোই বেড়ে গিয়েছে। তাই যতক্ষণ না এনআরসি ও এনপিআ নিয়ে কোনও স্বচ্ছ মতামত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দিতে পারছেন ততক্ষণে এনপিআর বিহারে করা যাবে না। এনপিআর নিয়ে দুই মন্ত্রীর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এনিয়ে স্পষ্ট কোনও বিবৃতি দিচ্ছেন ততক্ষণ জেডিইউ এনপিআর প্রশ্নে কেন্দ্রকে সমর্থন করবেন না। বলা বাহুল্য, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, রাজস্থানে এনপিআর-এর কাজ করতে দেবে না সেখানকার রাজ্য সরকার। এদিকে এনআরসি-র (NRC) বিরোধিতায় মুখ খুলেই প্রধানমন্ত্রীর নো এনআরসি- মন্তব্যকে রাজনতিক কৌশল বলে আখ্যা দিয়েছেন জেডিইউ-র সহসভাপতি প্রশান্ত কিশোর (JD(U) vice president Prashant Kishor)। তাঁর মতে, দেশজুড়ে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে, তাই এই পন্থা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টুইট বার্তায় প্রশান্ত কিশোর বলেন, নরেন্দ্র মোদি বলছেন এখনও তো এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। আসলে তিনি নয়া রাজনৈতিক কৌশল নিতে চাইছেন। এর মানে কিন্তু এনআরসি বন্ধ নয়, সাময়িক স্থগিত রাখা। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee:“মরে গেলেও বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না,” নৈহাটি উৎসব থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতা ব্যানার্জির
প্রশান্ত কিশোরের বিরোধিতা সত্ত্বেও তাঁর দল জেডিইউ (JD(U)) সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (CAA) সমর্থন করেছে। এই নয়া আইন পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবে। যারা ধর্ম বাঁচাতে নিজের দেশ ছেড়ে এদেশে শরণার্থী হয়ে আছে। সাধারণত ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা এসেছে তারাই এই আইের আওতাভুক্ত।