নতুন দিল্লি, ২৮ জানুয়ারি: দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি নেতাদের মুখের লাগাম আলগা হচ্ছে। প্রথমে অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ মন্তব্য। এবার পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা। তিনি বললেন, “ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টায় ফাঁকা করে দেব শাহিন বাগ।” নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বিকাশপুরীতে একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে প্রবেশ বর্মা বলেন, “ওঁরা আপনাদের ঘরে ঢুকে মেয়ে-বোনেদের খুন, ধর্ষণ করবে। এখনও সময় আছে। আগামী দিনে কিন্তু মোদি-শাহ বাঁচাতে আসবে না। এরপরই তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, এটা শুধু মাত্র একটা নির্বাচন নয়। এই নির্বাচনই ঠিক করবে দেশের একতা।”
শুধু অনুরাগ ঠাকুর বা প্রবেশ বর্মা নয়, কয়েক দিন আগে বিতর্কিত মন্তব্য করার জেরে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রের নির্বাচনী প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। একটি টুইট করে বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র বলেছিলেন, ‘‘শাহিনবাগের মাধ্যমে পাকিস্তান ভারতে ঢুকে পড়েছে। মিনি পাকিস্তান তৈরি হয়েছে দিল্লিতে। পাকিস্তানের দাঙ্গাবাজেরা রাস্তা দখল করে বসে আছে।’’ পরে অন্য আর একটি টুইটে তিনি লেখেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন দিল্লিতে ভারত বনাম পাকিস্তানের লড়াই হতে চলেছে।” আরও পড়ুন-Goli Maaro Remark Row: ‘গোলি মারো’, ভিডিও যাচাই করছে নির্বাচন কমিশন, পিঠ বাঁচাতে অনুরাগ ঠাকুর বললেন ‘দিল্লির মুড দেখছিলাম’
#WATCH: BJP MP Parvesh Verma says, "...Lakhs of people gather there (Shaheen Bagh). People of Delhi will have to think & take a decision. They'll enter your houses, rape your sisters&daughters, kill them. There's time today, Modi ji & Amit Shah won't come to save you tomorrow..." pic.twitter.com/1G801z5ZbM
— ANI (@ANI) January 28, 2020
নিজের 'গোলি মারো' মন্তব্যের জেরে নিজেই ফাঁসলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Union Minister Anurag Thakur)। যারা সরকারি নির্দেশিকা মানবে না তাদের গুলি মারতে হবে। নির্বাচনী জনসভায় মন্ত্রী বলছেন একথা। ইতিমধ্যেই জনসভার ভিডিও চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই খবর যে তাঁর জন্য শিরে সংক্রান্তি দশার মতো তা ভাল করেই জানেন অনুরাগ ঠাকুর। তাই বলেছেন, পুরো ভিডিও দেখে মন্তব্য করুন। আগামী আট ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। অনুরাগ ঠাকুর উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রিথালা কেন্দ্রের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন। তখনই তিনি বিতর্কিত স্লোগান দেন। “দেশ কো গদ্দারোঁ কো…”, জনতা স্লোগানের শেষাংশ বলছে, “গোলি মারো…”। তার মানে যারা দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের গুলি করে দাও। মন্ত্রীর এই স্লোগানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।