রাঁচি, ২৩ ডিসেম্বর: বেলা যত গড়াচ্ছে ততই জয়ের পথে এগোচ্ছে ঝাড়খণ্ডের ত্রিদলীয় জোট শরিকরা। এখনও পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ থেকে যা ইঙ্গিত মিলছে তাতে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সোরেনই (Hemant Soren) ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী (Jharkhand Chief Minister) পদে আসতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের যা ট্রেন্ড তাতে হেমন্ত সোরেনের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ কেউ আটকাতে পারবে না। একইভাবে রাজ্যে ৮১টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৯টির দখল নিয়ে নিয়েছে জোট শিবির। তাই জয়ের খবর আসা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আদিবাসী নেতা শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার করেই নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়েছিল জেএমএস, কংগ্রেস ও আরজেডি।
এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী ফলে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে অনায়াসে বিজেপিকে হারিয়ে সরকার গঠন করছে জোট সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার নেমরা গ্রামে ১৯৭৫ সালের ১০ আগস্ট জন্ম হয় হেমন্ত সোরেনের। ২০০৫-এর বিধানসভা নির্বাচনে দুমকা আসন থেকে প্রথমবার ভোটে দাঁড়ান হেমন্ত। তাঁর দলেরই বিদ্রোহী নেতা স্টিফেন মারান্ডির কাছে প্রথম নির্বাচনে হেরে যান। ২০০৯-এর ২৪ জুন থেকে ২০১০-এর ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে অর্জুন মুণ্ডার নেতৃত্বে বিজেপি, জেএমএম, জেডিইউ, এএসজেইউ দলের জোট সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন হেমন্ত সোরেন। ২০১৩-য় ঝাড়খণ্ডের সবচেয়ে কম বয়সী মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। ২০১৪-র ডিসেম্বর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন হেমন্ত সোরেন। আরও পড়ুন-Jharkhand Assembly Election Results 2019: ‘ট্রেন্ডে বিশ্বাস করি না, ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়ছে বিজেপি’; বললেন রঘুবর দাস
হেমন্তের স্ত্রীর নাম কল্পনা (Kalpana), তাঁদের দুই পু্ত্রসন্তান রয়েছে। তাঁর ছোট ভাই ও বোন রয়েছে। ভাই বসন্ত সোরেন (Basant Soren) এবং বোন অঞ্জলি সোরেন (Anjali Soren)। পর পর তিনবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তাঁর বাবা শিবু সোরেন (Shibu Soren)। ১৯৯৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত জামা এলাকার বিধায়ক পদে ছিলেন হেমন্তের দাদা দুর্গা সোরেন। এখন জামার বর্তমান বিধায়ক দুর্গার স্ত্রী সীতা সোরেন (Sita Soren)। এখন জেএমএম-এর যুব দলের সভাপতির পদে রয়েছেন হেমন্তের ছোট ভাই বসন্ত সোরেন।