অমিত শাহ (Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি: শান্তিনিকেতনে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আসনে বসেননি। বরং জানলার ধারে অন্য একটি আসনে বসেছেন। কংগ্রে সাংসদ অধীর চৌধুরীকে জবাব দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর অভিযোগ করেছিলেন, জানুয়ারিতে বীরভূম সফরে গিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত চেয়ারে বসে নোবেলজয়ীকে অপমান করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার সংসদে দাঁড়িয়েই অমিত যার জবাবে বললেন, অধীরের অভিযোগ ‘ভুল’। কংগ্রেস সাংসদকে বিঁধে অমিতের মন্তব্য, “উনি সঠিক তথ্য জানেন না। আমার কাছে সঠিক তথ্য রয়েছে। সত্যিটা হল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই চেয়ারে বসেছিলেন। আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী তাঁর সোফায় বসে চা-ও পান করেছিলেন।” আরও পড়ুন-England Beat India: চেন্নাইতে প্রথম টেস্টে ভারতকে হারিয়ে বাজিমাত ইংল্যান্ডের

এমনিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি বিরোধী তকমা সেঁটে দিয়েছে শাসক তৃণমূল। তায় শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের চেয়ারে বসেছেন অমিত শাহ। রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে এনিয়ে শোরগোল পড়তেই পদ্মশিবির বুঝে যায়, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সেটা রুখতে হবে। তাইতো অমিত সরাসরি অধীরের মোকাবিলা করেন তথ্য এবং চিত্র দিয়ে। যা থেকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে অমিতের বিরুদ্ধে কবিগুরুকে ‘অপমান’ করার অভিযোগ উঠলে ধাক্কা খাবে বাংলা এবং বাঙালির আবেগ। তাই সময় নষ্ট না করে মঙ্গলবার সংসদে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শুধু বক্তব্য নয়, রীতিমতো বক্তব্যের সমর্থনে ছবিও দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জওহরলাল নেহরু ও রাজীব গান্ধী যখন বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছিলেন তখন শান্তিনিকেতনে গিয়ে জানলা লাগোয়া একটি চেয়ারে বসেছেন। এরপর তিনি শুধু একা ‘উত্তরায়ণ’-এ জানালার ধারের ওই অস্থায়ী আসনটিতে বসেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। অমিত শাহর পক্ষে সাফাই দিতে গিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি, আই আসনটি কবিগুরুর ব্যবহৃত নয়। এমনকী, বিষয়টি সম্পর্কে অধীরবাবু যদি স্পষ্ট ধারণা পেতে চান তাহলে শান্তিনিকেতনে আসতে পারেন। এই সূত্রে আমন্ত্রণও জানিয়ে রেখেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।