নতুন দিল্লি, ২৬ অক্টোবর: শেষ পর্যন্ত 'অল ইজ ওয়েল'-ই হল বিজেপি (BJP)-র। হরিয়ানার ভোটগণনার পর যেমনটা মনে করা হয়েছিল সেই হিসেব মিলেই আরও একবার বিজেপির 'ম্যানেজ' রাজনীতির জয় হল। হরিয়ানায় নিরঙ্কুশ সংখ্য়াগরিষ্ঠতা না পেলেও একক বৃহত্তম দল হয়ে ছোট দল, নির্দলদের নিজেদের পক্ষে এনে আরও একবার বাজিমাত করল দেশের শাসক দল। যেমনটা ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ক্ষমতায় আসার পর নানা সময় দেখা গিয়েছে। গতকাল রাতে দলের সভাপতি জেডি নাড্ডা (JP Nadda) , হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার (Manohar Lal Khattar), আর জেজেপি-র প্রধান দুষন্ত চৌতালা ( Dushyant Chautala)-কে নিয়ে ভিকট্রি ল্যাপ দিচ্ছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। আরও একবার বিজেপির 'চানক্য'অমিত শাহ দেখালেন দিনের শেষে তিনিই কিংমেকার। শোনা যাচ্ছে, চৌতালাকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ দিয়েই বাজিমাত করলেন অমিত শাহ।
৯০ আসনের হরিয়ানায় ৪০টি আসন জেতার পর কিং মেকারের ভূমিকায় থাকা ১০জন বিধায়ক থাকা জেজেপি-র সমর্থন আদায় করে সরকার গড়ার দাবিপত্র নিয়ে রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণের (Satyadev Narayan Arya) কাছে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর। একেবারে নতুন দল জেজেপি-র দশ বিধায়কের সমর্থন থাকায় অনায়াসে সরকার গড়ছেন খাট্টার। আরও পড়ুন-কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের প্রথম রাজ্যপাল হলেন গিরিশচন্দ্র মুর্মু, সত্যপাল মালিক যাচ্ছেন গোয়ায়
হরিয়ানায় সবাই ভেবেছিলেন, এক্সিট পোলে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল বিজেপি অনায়াসে ক্ষমতায় ফিরছে, কংগ্রেস বড়জোড় ১০টা আসন জিতবে। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস দারুণ ফল করে। বিজেপি ৪০, কংগ্রেস ৩০, জেজেপি ৩০, ও অন্যানরা ১০টা আসন জেতার পর সাফ ছিল এক বছরের কম সময়ের দল জেজেপি কিং মেকারের ভূমিকা নেবে। জেজেপি প্রধান দুষন্ত চৌতালা ভোটের ফলপ্রকাশের পর দিল্লিতে ছুটে যান। শোনা যাচ্ছিল, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে চৌতালাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার কথাও কংগ্রেস রাজি হয়। গতকাল দুপুরে চৌতালা সাফ জানায় বিজেপিকে সমর্থন করার প্রশ্নই নেই। তখন বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্ডা সহ নির্দলদের সমর্থন আদায় করে বিজেপি ক্ষমতা দখলের দিকে এগোয়। চৌতালার সমর্থন ছাড়াই নির্দলদের নিয়ে সরকার গড়ার পথে এগোয় বিজেপি। তাতে চাপে পড়ে যান চৌতালা। সন্ধ্য়ার দিকে অমিত শাহ-র সঙ্গে বৈঠক করেন চৌতালা। তারপরই বিজেপিকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করে জেজেপি। জেজেপি-র সমর্থন পাওয়ায় গীতিকা শর্মা আত্মহত্য়াকাণ্ডে জড়িত গোপাল কান্ডার সমর্থন নিয়ে ইমেজে ধাক্কা লাগার কোনও সিদ্ধান্ত বিজেপিকে নিতে হচ্ছে না। শেষ অবধি কপিল দেবের রাজ্যে সব বাউন্সার সামলে অল ইজ ওয়েলই হল বিজেপি-র।