হরিয়ানা, ১৯ আগস্ট: রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানতে চলেছেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা। মাত্র একদিন আগেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলেনতিনি। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার এই সমর্থন ভাল চোখে দেখেনি দল, শুরু হয় গুঞ্জন। তারপরেই রাজনীতিতে আপাত অবসরের ঘোষণার ইঙ্গিত দেন তিনি। কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার খর্ব হওয়াতে সমগ্র দেশবাসীর উপকার হয়েছে বলে মনে করেন হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Bhupinder Singh Hooda)। তাঁর কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। এমনকী দুই সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করতে চলেছে কংগ্রেস। এই কমিটি বাস্তবে রূপ পেলেই অবসর নেবেন ভূপিন্দর সিং হুডা, সোমবার সাংবাদিকদের একথাই বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ৩৭০ ধারার (Article 370) বিলোপকে সমর্থন করি। বর্তমান হরিয়ানা সরকার গত পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান দিক, যা উন্নয়নের লক্ষ্যে করা হয়েছে। এই ৩৭০ প্রসঙ্গ তুলে সেই হিসেবকে প্রচ্ছন্নে রাখা যাবে না। কেননা, ভারত-কাশ্মীর সীমান্তে সেনা জওয়ান হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন হরিয়ানার বহু যুবক। তাঁদরে কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে এলেই কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে অসন্তোষ ছড়ায়। কেননা সংসদে যখন ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কাশ্মীর থেকে স্পেশ্যাল স্টেটাস এবার সরে যাবে। তখনই প্রতিবাদ করেছিল কংগ্রেস। পরে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁচালেও কাশ্মীরে ঢুকতে পারেননি। উপত্যকার বাসিন্দাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করায় রাহুল গান্ধীকেও কটাক্ষ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া কেন্দ্রের এক তরফা সিদ্ধান্ত। তবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভায় বিষয়টি আলোচিত হওয়া উচিত ছিল। এই থেকেই স্পষ্ট পয়ে যায় যে বিরোধী কংগ্রেস বিজেপির এই নয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়নি। তারপরেও প্রবীঁণ কংগ্রেস নেতা হিসেবে ভূপিন্দর সিং হুডা কীকরে ৩৭০ ধারার বিলোপকে সমর্থন করেন, তাই নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আরও পড়ুন-অবশেষে অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিতের বেতন বাড়ল, হাইক কত জানেন?
এরপর সোমবার ভূপিন্দর সিং হুডা সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর ক্রিয়াকলাপ যাচাই করে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন হয়েছে। সেই কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেবে, তাই তিনি মাথা পেতে গ্রহণ করবেন। কমিটি যদি তাঁকে দল ছাড়ার কথা বলে, তাহলে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেবেন। তাঁর সমর্থন প্রসঙ্গে বলেন, ‘কেন্দ্র যদি কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তিনি সমর্থন করবেন বৈকি। আমার সহকর্মীদের অনকেই ৩৭০ ধারার বিরুদ্ধে গিয়েছেন আদি কংগ্রেস এমন ছিল না। বর্তমানে সে তার নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছে। তবে দেশভক্তি ও আত্মবিশ্বাসের প্রসঙ্গ এলে আমি কারওর সঙ্গেই সমঝোতা করব না।’