সমাধান ছেড়ে বিজেপি শুধু বিরোধীদের দোষারোপ করতেই পারে,  নাম না করেই নির্বাচনী সভা থেকে  নির্মলা সীতারমণকে কটাক্ষ মনমোহনের
মনমোহন সিং ও নির্মলা সীতারমণ (Photo Credit: PTI)

মুম্বই, ১৭ অক্টোবর: বিজেপি সরকার (BJP government) বিরোধীদের ঘাড়ে দোষের বোঝা চাপিয়ে দিতে সবসময় মুখিয়ে আছে। আগামী ২১ তারিখ মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। তাই শেষ মুহূর্তে প্রচারে এখন মুম্বইতে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দেশের ব্যাংক বিপর্যয় নিয়ে গতকালই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে দোষারোপ করেছেন সীতারমণ, এদিন তারই জবাব দিলেন মনমোহন সিং (Dr Manmohan Singh)। সেখানকার এক জনসভা থেকে বিজেপির কার্যপদ্ধতির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। “আমি সবেমাত্র নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Sitharaman) মন্তব্য পড়েছি। এনিয়ে কিছু বলতেই চাই না। কেউ যদি অর্থনৈতিক ভোলবদল করতে গিয়ে অসুস্থতা ও বিঘ্ন কীভাবে হল তা পরীক্ষা না করে শুধু প্রতিপক্ষকে দোষারোপে ব্যস্ত থাকে। তাহলে সেই অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন বিশবাঁও জলে।”

মঙ্গলবার কলম্বিয়া স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেদিন নির্মলা সীতারমণ বলেন, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রধান রঘুরাম রাজন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের যৌথ দায়িত্বেই ভারতীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা খারাপ থেকে খারাপের দিকে এগিয়েছে। রঘুরাম রাজন এনিয়ে ঠিক কি কি বলছেন তাতে সন্দেহ করার কোনও কারণ দেখতে পাই না। শুধু বলতে পারি রঘুরাম রাজন ও মনমোহন সিংয়ের আমলেই ভারতীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার সবথেকে খারাপ অবস্থা গিয়েছে। এই খবর আমরা কেউ জানতাম না। আরও পড়ুন-২০২০-র বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়বে জেডিইউ-বিজেপি, স্পষ্ট করে দিলেন অমিত শাহ

মনমোহন সিং বলেন, “বিজেপির রাজত্বে অর্থনৈতিক মন্দার দৈনতা সবথেকে ভাল উপলব্ধি করতে পারছে মহারাষ্ট্র। যেসব বড় বড় বিজ্ঞাপনী মডেলকে সামনে রেখে বিজেপি সরকার মহারাষ্ট্রবাসীর কাছে ভোট চেয়েছিল, তার সবটাই আজ ব্যর্থতায় পর্যবসিত। টানা চারবছর ধরে রাজ্যটিতে উৎপাদন জাত বৃদ্ধির হার কমেই চলেছে। পিএমসি ব্যাংক বিপর্যয় এককথায় দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের এই বেলা কার্যকরী সমাধান খোঁজা উচিত। আমি আশা করব ১৬ লক্ষ আমানতকারীকে সুবিচার পাইয়ে দিতে কেন্দ্রীয় সরকার, মহারাষ্ট্র সরকার ও রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া একসঙ্গে বসে কোনও কার্যকরী ও বাস্তববাদী সমাধানের পথ বের করবে।”