নতুন দিল্লি, ৯ মার্চ: এই মুহূর্তে কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া উচিত। বিশেষ করে সেখানকার তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে। সোমবার এক যৌথ রেজোলিউশনে (joint resolution) এমনটাই জানিয়েছে আটটি বিরোধী রাজনৈতিকদল। গত ২০১৯-এর পাঁচ আগস্ট থেকে কেন্দ্রের বন্দিদশায় রয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্র তাঁদের প্রথমে গৃহবন্দি ও পরে সতর্কতামূলক গ্রেপ্তার করে। মূলত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া বিশেষ অধিকার খর্ব করার সময় কোনওরকম ঝামেলা এড়াতেই এই বন্দোবস্ত নেওয়া হয়। এতগুলো মাস কেটে গেলেও তাঁরা মুক্তি পাননি।
এইআটটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের যৌথ রেজোলিউশন ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই রাজনৈতিক নেতৃত্বরা হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া, মমতা ব্যানার্জি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা, অরুণ শৌরি, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, সিপিআই নেতা ডি রাজা, সিপিআইএম নেতা সিতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি বিধায়ক মনোজ ঝা প্রমুখ। এই যথ রেজোলিউশনে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, মোদি সরকারের আমলে রাজনৈতিক মতপার্থক্য বিভ্রান্ত হচ্ছে। আরও পড়ুন- Allahabad HC: যোগীর রাজ্যে পড়ল সিএএ বিরোধীদের ছবি সমেত হোর্ডিং, সেসব সরানোর নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের
এই যৌথ রেজোলিউশনে জানানো হয়, “আমরা কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিকদের এই মুহূর্তে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। বিশেষ করে সেখানকার তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। মোদি সরকারের আমালে প্রশাসনের মমজতে রাজনৈতিক মতবিরোধ বিভ্রান্ত হচ্ছে।” শ্রীনগরের হরিনিবাসে ওমর আবদুল্লা বন্দি আছেন গত ৫ আগস্ট থেকে। অন্যদিকে শ্রীনগের গুপকার রোডে নিজের বাড়িতেই বন্দি আছেন তাঁর বাবা ফারুক আবদু্ল্লা। পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি আছেন এমএ রোডের এক সরকারি ভবনে। আরও অনেক রাজনৈতিক নেতা-সহ যেসব আমলারা পরবর্তিতে রাজনীতিতে এসেছেন তাঁদেরও সতর্কতামূলক গ্রেপ্তারিতে রাখা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন শাহ ফয়জল। মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা ও শাহ ফয়জল জন নিরাপত্তা আইনে অবরুদ্ধ হয়েছেন।