রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo Credits: ANI)

অযোধ্যা, ৫ আগস্ট: ভূমি পুজোর পরে ৪০কিলোর রুপোর ইট গেঁথে রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। সেই সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল অযোধ্যায় বহু প্রতিক্ষীত রাম মন্দিরের নির্মাণকাজ। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অংশ হিসেবে বুধবার অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ভূমি পুজো, শিলা পুজো ও কর্মা পুজোয় অংশ নেন। প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের উচ্চতা হবে ১৬১ ফুট। মন্দিরের মাথায় থাকবে পাঁচটি গম্বুজ। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় অযোধ্যায় পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাকেত কলেজের মাঠে তাঁকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অযোধ্যায় প্রবেশ করেই প্রথমে রামগঢ়ীতে হনুমান মন্দিরে পুজো  দিলেন নরেন্দ্র মোদি। তারপর সেখান থেকে চলে আসেন রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্সে। তারপর রাম লালার পুজো করেন।

এরপর সাষ্টাঙ্গে প্রণাম (Sashtang Pranam) সেরে গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা সাড়ে ১২টায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর উদ্বোধন করলেন। তার আগে রাম জন্মভূমি কমপ্লক্সে চত্বরে একটি পারিজাত বৃক্ষ রোপণ করলেন নরেন্দ্র মোদি। তারপর এল  ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পালা। আগামী তিন বছরের মধ্যেই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। করোনা পরিস্থিতিতে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করে শুরু আয়োজন করা হয়েছে ভূমিপুজোর। গোটা অযোধ্যা শহর মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নিত্যগোপাল দাস, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল।

গত বছর নভেম্বর মাসে সুপ্রিম রায় অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষেই যায়। সুপ্রিম নির্দেশে কেন্দ্র অযোধ্যার জমির দায়িত্ব রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রে ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া। বলা হয় যেখানে একদা বাবরি মসজিদ ছিল, সেখানেই তৈরি হবে রাম মন্দির। সুপ্রিম কোর্টে সাত দশকের পুরনো অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মামলার রায়কে মেনে নেয় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সুপ্রিম নির্দেশে অযোধ্যার অন্যত্র মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া হয় ৫ একর জমি। সুপ্রিম নির্দেশেই বাবর মসজিদ যেখানে ছিল সেখানে আজ রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হল। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় সেদিনের বাবরি মসজিদ। রাম মন্দিরের ভূমি পুজো শুরু আগেই সারা ভারত মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের তরফে বলা হয়, বাবরি মসজিদ মসজিদ হিসেবেই থেকে যাবে। কারণ একবার যেখানে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনন্তকাল পর্যন্ত তার স্থানবদল হয় না।