নতুন দিল্লি, ৯ নভেম্বর: আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) অযোধ্যা মামলায় (Ayodhya Verdict) রায়দানের পর সুপ্রিম কোর্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত রায়ের বিষয়ে জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি এই ঐতিহাসিক রায়কে কারও হার বা জিত হিসেবে না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন-
আজ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অযোধ্যা মামলায় রায় দিয়েছে। এই রায়টিকে কেউ কারও হার বা জিত হিসেবে নেবেন না। রাম ভক্ত অথবা রহিম ভক্ত হলেও, রাষ্ট্রভক্তির চেতনাকে আরও জোরদার করা জরুরি। আশা করছি শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়টি লক্ষণীয় কারণ- আরও পড়ুন, একনজরে অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়
- এই রায়ের ফলে এটাই প্রকাশ পাচ্ছে যে যেকোনও বিবাদ আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে সমাধান করা সম্ভব।
- এটি আমাদের বিচার বিভাগের স্বতন্ত্রতা, স্বচ্ছতা এবং দূরদর্শিতা রক্ষা করছে।
- এটা স্পষ্ট যে আইনের কাছে সকলেই সমান।
- বহুদশক ধরে চলে আসা একটি জটিলতার আজ ইতি ঘটল।
- এই মামলায় প্রতিটি পক্ষকে সমানও পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল নিজেদের সওয়াল করার জন্য।
- রায়ের পর ১৩০ কোটি ভারতীয়রা শান্তি বজায় রেখেছে। এটিই ভারতের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছে।
- এই ঐক্য এবং একাত্মতার চেতনা আমাদের জাতির বিকাশের পথকে শক্তি জোগায়। প্রার্থনা করি সমস্ত ভারতীয়রা সেই শক্তির অধিকারী হোক।
অযোধ্যা মামলায় (Ayodhya Case Verdict) আজ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিতর্কিত জমি দেওয়া হল হিন্দুদের। মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যাতেই পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়ার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। মন্দির নির্মাণের জন্য আগামী তিন মাসের ভেতর প্রকল্প তৈরি করে মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে এই রায় সাংবিধানিক বেঞ্চের পাঁচ বিচারপতির সর্বসম্মত রায়। রায় পড়ার সময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ (Chief Justice of India Ranjan Gogoi) বলেন যে এই রায় বিশ্বাস বা বিশ্বাসের ভিত্তিতে নয় আইন ভিত্তিক। আদালত পুজোর প্রমাণের পাশাপাশি বাবরি মসজিদ ভাঙার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে।