চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। দেশে থাকাকালীন বিহারে নির্বাচনী প্রচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তবে বর্তমানে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে রয়েছেন তিনি। পাঁচ দেশের সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রে। দুই দিনের এই সফরে রয়েছে ভরা কর্মসূচি। তবে তার মধ্যেও বিহার যোগসূত্র টেনে আনলেন তিনি। শুক্রবারেই তিনি দেশের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে বারবার উঠে আসে বিহার প্রসঙ্গ। কিন্তু বিহার থেকে ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে উত্তর আটলান্তিক সাগরের উপর ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্রের কেন আচমকা মোদীর নজর পড়ল জানেন? আর কেনই বা নির্বাচনের আগে এদেশ ছেড়ে সোজা ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে গিয়ে বিহার নিয়ে তাঁকে বলতে হচ্ছে?
কমলা পারসাদ-বিশ্বেশ্বরের সঙ্গে বিহার যোগ
আসলে এই দেশের ১৩ লক্ষ নাগরিকের মধ্যে কমপক্ষে ৪৫ শতাংশ নাগরিকই ভারতীয়। তাঁদের মধ্যে আবার অধিকাংশ বিহারের বাসিন্দা। অনেকেই জন্মসূত্রে বা কর্মসূত্রে এদেশে থাকছেন। এমনকী এই দেশে পাটনা স্ট্রিট বলে একটি জায়াগা আছে, যেখানে বিহারবাসীরা থাকেন। তবে এখানেই বিহার কানেকশন শেষ হচ্ছে না। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো প্রধানমন্ত্রী কমলা পারসাদ-বিশ্বেশ্বর নিজে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী, যাঁর পূর্বপুরুষ বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর আদিবাড়ি বক্সার জেলার ভেলুপুরের ইটাধি ব্লকে। ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পৈতৃকবাড়িতে ঘুরতে যানও তিনি।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর সঙ্গে ভারতের মজবুত সম্পর্ক
ফলে সেখান থেকে মোদীর ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো সফর কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা এবার স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। প্রকাশ্যে কমলা পারসাদকে ‘বিহার কি বেটি’ বলেও সম্বোধন করেন মোদী। ১৯৯৯-এর পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রথমবার ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে পা রাখলেন। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বানিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক যেমন মজবুত হল, তেমনই বিহারবাসীদের নিয়ে তিনি যে বিশেষভাবে চিন্তিত, সেই বার্তাও দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।