বাহারিনে নরেন্দ্র মোদি। (Photo Credits: ANI)

মানামা, ২৪ অগাস্ট: বাহারিন সফরে গিয়ে তাঁর দুই সহযোদ্ধা অরুণ জেটলি ও সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) । সংযুক্ত আরবআমিরশাহি (UAE) সফর সেরে নরেন্দ্র মোদি এখন বাহারিনে (Baharain)। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাহারিন সফরে গিয়েছেন মোদি। বাহারিনে অনাবসী ভারতীয়দের সভায় মোদি বললেন, অরুণ জেটলি ও সুষমা স্বরাজের মৃত্য়ু তাঁকে গভীর ব্যথা দিয়েছে।

সদ্য প্রয়াত অরুণ জেটলিকে বন্ধু অ্যাখা দিয়ে তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করে নরেন্দ্র মোদি বাহারিনে সভায় বললেন, ''অফিসিয়াল কর্তব্য পালনের জন্য সারাদিন তিনি আবেগ চেপে রাখার চেষ্টা করার খুব চেষ্টা করছি। অরুণ জেটলির মৃত্যু আমায় মানসিক দিক থেকে খুব আঘাত করেছে।''অরুণ জেটলির প্রয়াণ দেশের পক্ষে অপূরণীয় ক্ষতি বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। এদিকে, দু'দিনের এই সফরে একগুচ্ছ কর্মসূচি আছে মোদি-র। বাহারিনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খালিফার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আরও পড়ুন-অরুণ জেটলির প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি-র

তাঁর প্রথম মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রীর প্রয়াণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুই করেছিলেন," আমি আমার খুব গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুকে আজ হারালাম। যে কোনও ইস্যুতে ওর গভীর ঢুকে চিন্তাকরা এবং বিষয়টা ভাল করে বোঝার মত ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই আছে। ওর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমরা সবাই ওর অভাব অনুভব করব।'' এদিকে, অরুণ জেটলির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সংযুক্ত আরবআমিরশাহিতে সফররত নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর অরুণ জেটলি-র স্ত্রী ও পুত্র প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন দেশের স্বার্থে তিনি যেন এই মৃত্যুর কারণে বিদেশ সফর বাতিল না করেন।

গতকাল, শনিবার দুপুর ১২.০৭টায় দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা অরুণ জেটলি। ৬৬ বছর বয়েসে প্রয়াত হন দেশের রাজনীতির নক্ষত্র অরুণ জেটলি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশের রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁদের সহযোদ্ধার মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। অর্থমন্ত্রকে তাঁর কার্যকালে জিএসটি ও নোটবন্দির মতো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

গত ৯ অগাস্ট শ্বাসকষ্টজনিত সমস্য়ার জন্য অরুণ জেটলিকে AIIMS-এ ভর্তি করা হয়েছিল। তারপর কটা দিন ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল তাঁর শরীর। গত মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট থেকে লাইফ সাপোর্টে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। ডাক্তাররা খুব চেষ্টা করছিলেন তাঁকে সুস্থ করার। কিন্তু শেষের দিকে তাঁর শরীর আর চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল না।

গত বছর কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছিল অরুণ জেটলির। বেশ কয়েকমাস ধরেই তাঁর শরীরটা বিশেষ ভাল যাচ্ছিল না। মোদি সরকারের দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় তাঁকে সামিল না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন অরুণ জেটলি। কিন্তু শরীর এতটাই খারাপ ছিল যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ রাখেননি।