মোদি ও ট্রাম্পের ফাইল ছবি (Photo Credits: IANS)

ভারতের ওপর সুর চড়িয়ে চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ট্রাম্পের নীতি-তে দুনিয়াজুড়ে বানিজ্য যুদ্ধের ছায়া। কিন্তু এরপরেও ট্রাম্পের কাছাকাছি আসার বড় একটা পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ট্রুথ সোশ্যাল শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। তখন তিনি ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু মূলধারার মিডিয়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, কোথাও নিজের যুক্তি, বা তথ্য রাখার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিতেই তাই ট্রুথ সোশ্যালের জন্ম দিয়েছিলেন বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলানো ট্রাম্প।

এক্সে দুনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সক্রিয় রাজনীতিবিদ মোদী

ইলন মাস্কের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স' (আগে নাম ছিল টুইটার)-এ মোদীর ফলোয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৫৮ লক্ষ। এক্সে দুনিয়ার মধ্যে সর্বাধিক ফলোয়ারের তালিকায় মোদী রয়েছেন ৬ নম্বরে। ১৪৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে দীর্ঘ ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকায় মোদীকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আগ্রহ রয়েছে।

Truth Social-এ মোদীর প্রথম পোস্ট

ট্রাম্প, এক্সের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টের থেকেও মাস্কের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্য়াটফর্মে বেশী সংখ্যক ফলোয়ার রয়েছে মোদীর। রেকর্ড সংখ্যক ফলোয়ার থাকায় 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ মোদী যোগ দেওয়ায় ট্রাম্পের এই ব্য়বসা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে সেটা জানা কথা।

Truth Social কবে থেকে শুরু হয়

ভুয়ো তথ্য দিয়ে ২০২০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে টুইটার থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর ক্ষোভে ট্রুথ সোশ্যাল নামের নিজের এক মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম খুলেছিলেন ট্রাম্প। মূলত নিজের বক্তব্য আর তাদের ঘনিষ্ঠদের কথা বলার জন্য ট্রাম্প মোটা অর্থ বিনিয়োগ করে Truth Social খুলেছিলেন। ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার পরেও তিনি ট্রুথ সোশ্যাল বিক্রি করে দেননি। বরং ট্রুথ সোশ্যাল ট্রাম্পের প্রচারের বড় অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের ভাবমূর্তি বাড়ানোর জন্য অনেক সময়ই ভুয়ো পোস্ট করারও অভিযোগ উঠেছে বারবার।