ভাগলপুর, ১৭ জুলাই: দাম্পত্য কলহ সমস্ত সুখ শান্তিকে যে বিনষ্ট করে দেয় তা বোধহয় সকলেরই জানা আছে। আর সেই অশান্তির মধ্যে যদি সন্দেহের বীজ ঢুকে পড়ে তাহলে কলহ পৌঁছায় চরমে। আর তা থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে। শুধু তাই না, পরিবারের অন্যরাও এই অশান্তি সহ্য করতে না পেরে চরম পরিণতি বেছে নিতে পারে। এমনটাই ঘটেছে বিহারের ভাগলপুরে। বাবা-মায়ের দাম্পত্যকলহের জেরে অতিষ্ট হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার চেয়েছে কিশোর। রাষ্ট্রপতির দপ্তরে এনিয়ে চিঠিও লিখেছিল বছর ১৫-র ওই কিশোর। আরও পড়ুন- সমস্ত বাধা কাটিয়ে আগামী রবিবারই চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণ
ওই কিশোরের দাবি, বাবা-মায়ের ঝগড়ায় তার বাড়ির পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, যে তার আর বাঁচতে ইচ্ছে করে না! রাষ্ট্রপতির দপ্তরে চিঠি পৌঁছানোর পরেই সেটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাষ্ট্রপতির দপ্তর। ওই কিশোরের বাবা দেওঘরের রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে কর্মরত, মা বিহারের পাটনায় একটি ব্যাংকে কাজ করেন। কিশোরের মা-বাবা দু’জনেই একে অপরের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু কোর্টের মামলার বাইরে, বাড়িতে প্রতিদিন এমন অসহনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যে সে আর সহ্য করতে পারছে না বলে চিঠিতে লিখে জানিয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভাগলপুর জেলা প্রশাসন।
ভাগলপুরের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশ এসেছে তাদের কাছে। কী কারণে একটি ১৫ বছর বয়সি ছেলে জীবনের প্রতি এমন বীতশ্রদ্ধ হয়ে চিঠি লিখেছে, তা খুঁজে দেখছে তারা। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে সমস্যার সমাধান করার জন্য। তদন্তে জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের ওই কিশোর তার বাবা-মায়ের নিত্যদিনের ঝগড়ায় মায়ের নির্দেশে এলাকার সমাজবিরোধীরা কিশোরের বাবাকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। এসব দেখেই জীবনের প্রতি সমস্ত ভাললাগা হারিয়ে ফেলে মৃত্যুকেই বেছে নিতে চাইছে সে।