Uddhav Thackeray and Raj Thackeray

Uddhav Raj Thackeray: খোদ বালা সাহেব ঠাকরে অনেক চেষ্টা করেও যেটা পারেননি, সেটাই মহারাষ্ট্র রাজনীতির সমীকরণ করে দিল। মারাঠা রাজনীতিতে ঝড় তুলে ঠাকরে পরিবারের দুই ভাই বাল ঠাকরে পুত্র উদ্ধব ও তাঁর ভাইপো রাজ আবার একসঙ্গে হাত ধরলেন। হিন্দি ভাষা করে জোর করে চাপিয়ে মারাঠি ভাষাকে সঙ্কটে ফেলছেন এই অভিযোগে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফদনবিশকে তুলোধনা করে উদ্ধবের হাত ধরে যৌথ আন্দোলনের কথা ঘোষণা করলেন রাজ ঠাকরে। এদিন মঞ্চে দুইল ঠাকরে ভাই একে অপরকে আলিঙ্গন করলেন। এবার তিনি এমএনএস তুলে দিয়ে শিবসেনায় উদ্ধবের শিবিরে ফিরবেন, নাকি জোট করে লড়বেন সেটাই দেখার। বাল ঠাকরের মৃত্য়ুর প্রায় ১২ বছর পর তাঁর নিজের ছেলে উদ্ধব আর ভাইয়ের ছেলে রাজ একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহে শিবসেনা দ্বিখণ্ডিত হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ার পর অবশেষে ঠাকরে পরিবারের দুই ভাই এক মঞ্চে এসে হাত ধরলেন। এমনটাই জীবদ্দশায় দেখতে চেয়েছিলেন বালাসাহেব ঠাকরে। বালাসাহেব বারবার দুই ভাইকে এক হয়ে শিবসেনাকে শক্তিশালী করার কথা বললেও, কিন্তু রাজ সেটা শোনেননি। রাজের একটাই দাবি ছিল, উদ্ধব নয়, তাঁকেই শিবসেনার ব্যাটন দিতে হবে। কিন্তু সেটা কিছুতেই রাজি হননি বালা সাহেব।

২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে নিজের দল গড়েছিলেন রাজ ঠাকরে

শিবসেনা প্রধান বালা সাহেব ঠাকরে দলে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে পুত্র উদ্ধবকে বেছে নিয়ে ছিলেন। সেই ক্ষোভে শিবসেনা ছেড়ে ২০০৬ সালের মার্চে বেরিয়ে এসে নিজের আলাদা দল গড়েন রাজ ঠাকরে। শুরুতে নির্বাচনী দ্বৈরথে কিছু সাফল্য পেলেও, পরে ভোট, আসন কমতে কমতে ক্রমশ মারাঠা রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হতে শুরু করেন রাজ ঠাকরে। যদিও আসন শূন্য হতে শুরু করলেও রাজের ব্যক্তিগত ক্য়ারিশ্মার কথা সবাই স্বীকার করেছেন। এদিকে, শিবসেনা পরিবারে গত কয়েক বছরে বড় ঝড় বয়ে গিয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁকে সরাতে বিজেপি গুটি হিসেবে ব্যবহার করে শিবসেনার নেতা একনাথ শিন্ডে-কে। বিজেপির সাহায্য শিবসেনাকে ভেঙে দেন একনাথ।

হাত ধরে দুই ভাই

একনাথ শিন্ডে শিবসনার রাশ ঠাকরে পরিবার থেকে কেড়ে নিয়েছেন

এমনকী শিবসেনার আসল প্রতীক, সরকারী নামটাও ঠাকরে পরিবার থেকে কেড়ে নেন শিন্ডে। গত বছর লোকসভা দারুণ ফল করলেও কয়েক মাস বাদেই ভরাডুবি হয় উদ্ধবের। শিবসেনায় ঠাকরে পরিবারের রাশ ক্রমশ ফিকে হতেই রাজ এগিয়ে এলেন উদ্ধবের পাশে।