ভিন দেশে গিয়ে আটকে পড়লেন ভারতীয়রা। তুরস্কের (Turkey) ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে (Istanbul Airport) হেনস্থার শিকার ভারতীয় যাত্রীরা। ইন্ডিগো (IndiGo) বিমান সংস্থার প্রায় ৪০০ জন যাত্রী গোটা রাত কাটালেন ইন্তাম্বুল বিমানবন্দরে। জুটল না কোন খাবার। কোন থাকার জায়গা। বিমান সংস্থার গাফিলতির জেরে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ভিন দেশের বিমানবন্দরে নাকানিচোবানি অবস্থা হচ্ছে ইন্ডিগো যাত্রীদের।
তুরস্তের ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে আকটে পড়া যাত্রীদের বেশিভাগেরই গন্তব্য দিল্লি (Delhi) এবং মুম্বই (Mumbai)। যাত্রীদের অভিযোগ, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের তরফে প্রথমে জানানো হয় ফ্লাইটটি উড়ানের সময় কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে তা পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরেই রাত কাটাতে হয় অসহায় যাত্রীদের। এমনকি হঠাৎ করে উড়ান বাতিল করে দেওয়ার পরেও যাত্রীদের জন্যে থাকা কিংবা খাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়নি ইন্ডিগোর তরফে। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অভিযোগের পাহাড় জমছে এক্স হ্যান্ডেলে। উড়ানের টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন যাত্রীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর একটি বিমান রাত ৮টা ১০ মিনিটে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। দিল্লিগামী ওই বিমানটির সময়সূচি হঠাৎই পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। জানানো হয় ওই বিমানটি পরের দিন, ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ছাড়বে। আর সেই থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
একই ভাবে বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ইস্তাম্বুল থেকে মুম্বইগামী একটি ইন্ডিগো বিমানের উড়ানের সময় ছিল রাত ৮টা ১৫ মিনিট। কিন্তু উড়ানের সেই সময় পিছিয়ে প্রথমে রাত ১১টা করা হয়, পরে সেই সময়সূচিও পিছিয়ে দিয়ে পরের দিন শুক্রবার সকাল ১০টায় উড়ানের সময়ে নির্ধারণ করা হয়। এমন আচমকা নির্ধারিত দিনের বিমান বাতিল করে দেওয়ার ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। রাত্রীযাপনের জন্যে যাত্রীরা ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে লাউঞ্জ ব্যবহারের অনুমতিও চায়। কিন্তু আটকে পড়া যাত্রী সংখ্যা প্রায় ৪০০ হওয়ায় বিমানবন্দরে লাউঞ্জ তাঁদের জন্যে ছোট পড়ে। ফলে বাচ্চা থেকে বুড়ো বিমানবন্দরের এদিন ওদিক ঘুমিয়ে রাত কাটিয়েছে।