এই আন্দোলন প্রতিনিয়ত বিভৎস রূপ নিচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশে রেল পরিষেবা, গণমাধ্যম পরিষেবা, ইন্টারনেট পরিষেবা সবকিছুই বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। একাধিক সরকারি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলের অফিসে হামলা হয়েছে বলে খবর। এই অবস্থায় পদ্মাপারের দেশে আটকে প্রায় ১৫ হাজার ভারতীয়। যাঁদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষার্থী। শুক্রবার তাঁদের মধ্যেই ৩০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া ফিরল এদেশে। জানা যাচ্ছে ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে স্থলপথের মাধ্যমেই এদেশে এসেছে তাঁরা। এদের মধ্যে অধিকাংশই উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা।
জানা যাচ্ছে, সকলেই সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরেছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই ত্রিপুরার আগরতলায় আখুরা এবং মেঘালয়ের দাওকি আন্তর্জাতিক পোর্টে নিরাপত্তা আটোসাঁটো ছিল। সকলের পরিচয়পত্র দেখেই এদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে অনেক পড়ুয়া ভুটান এবং নেপাল থেকে আসছেন বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। আগত ছাত্রছাত্রীদের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। তবে আপাতত এই পড়ুয়ারা দেশে ফিরে স্বস্তির শ্বাস ফেলছেন। হরিয়ানার বাসিন্দা আমির জানান তিনি চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দিনে দিনে তাঁদের কলেজের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। আমাদের জন্য একাধিক বিধিনিষেধ ছিল। আমরা ইচ্ছেমতো বাইরে বেরোতে পারছিলাম না। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। বিমান পরিষেবা বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে সড়কপথে আগরতলায় এসেছি।
একই কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ ফয়েজ আবদুল্লাহ খান বলেন, "মঙ্গলবার পর্যন্তও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই আমাদের কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল। শিক্ষকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধের ঘোষণা করেছেন। আমরা তাঁদের থেকে পরামর্শ নিতে গেলে তাঁরা জানান, যদি এখানে সুরক্ষিত না মনে হয় তাহলে পরিবার এবং ভারতীয় দূতাবাস থেকে পরামর্শ নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারি। এরপর আমরা দূতাবাসে যোগাযোগ করি, তাঁরা সড়কপথে আগড়তলায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সেই সঙ্গে সবসময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকতে বলেছিলেন"।